আজকাল স্মার্টফোনেই ক্যালকুলেটর রয়েছে। তাই আলাদা করে ক্যালকুলেটর প্রয়োজন হওয়ার কথা না তাইনা? আপনি জানলে অবাক হবেন, ক্যালকুলেটিং এখন অনেক সহজ হলেও স্মার্টফোনের ক্যালকুলেটর কখনও আপনাকে আরামে হিসেব করার সুবিধা দেবে না। প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে আপনাকে একটা ডেক্সটপ ক্যালকুলেটর রাখতেই হবে। বাজারে বিভিন্ন দামের ক্যালকুলেটর রয়েছে। একটা হলেই তো হলো, তাইনা?
তা হয়। কাজ চালাতে পারলেই হলো। কিন্তু একগাদা হিসেব যাদের করতে হয় তাদেরকে ভাবতে হয় কতটা স্ট্রেস ছাড়া হিসাব করা যায়। ক্যালকুলেটরের ডিজাইন, বাটনের কোয়ালিটি, ডিসপ্লের স্পষ্টতা, পাওয়ার অপশন এবং গঠন কাঠামো অনেক সময় মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। আর তাছাড়া সাধারন অনেক ক্যালকুলেটর হ্যান্ডল করা কিংবা বাটনের ফিডব্যাক ভালো হয় না। তখন সহজেই ভুলচুক হয়ে যায়। আর সাধারন ক্যালকুলেটর একগাদা হিসেবের কাজেই ব্যবহার করা হয়। যখন আপনি এভাবে স্ট্রেস নিয়ে ক্যালকুলেটিং করবেন তখন সমস্যা হবেই।
অর্থাৎ বাজার থেকে ভালোমানের একটা ক্যালকুলেটর কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ। সাধারন ১২ ডিজিটের ক্যালকুলেটরের ক্ষেত্রে আপডেট বা বছরে বছরে বদলানোর দুশ্চিন্তা তো আর নেই। কাজেই প্রথমবারেই ভালোমানের একটি ক্যালকুলেটর কিনে নিতে দোষ নেই। আমরা অবশ্য ক্যাসিও কিনে অভ্যস্ত। কিন্তু আসল ক্যাসিও ক্যালকুলেটর তো আর পাচ্ছি না। সেক্ষেত্রে পরিচিত ব্র্যান্ডের মধ্যে শাওমি একটি ভালো চয়েস।
সরল পথে যদি একগাদা হিসাবের জটিলতার সমাধান খোঁজেন তাহলে শাওমির লেমো ফটোইলেকট্রিক ডুয়াল পাওয়ার ক্যালকুলেটর একটি চমৎকার অপশন।
অনেকে অবশ্য অবাক হন নি। কারণ শাওমি অনেক ধরনের পণ্যই বানিয়ে থাকে। শাওমি লেমো ফোটোইলেক্ট্রিক ডুয়াল ড্রাইভার ক্যালকুলেটর তাদের চলতি বছরের নতুন সংযোজন। একদম শুরু থেকেই পণ্যটি দেশ-বিদেশের বাজারে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আমাদের বাজারেও অনেকের কাছে পণ্যটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আমার নিজের কর্মক্ষেত্রেও এটি ব্যবহার করতে দেখেছি। হয়তো আমার সরাসরি কাজে আসেনি তবে নিজে কাছাকাছি থেকে এর ব্যবহারিক দিক দেখতে পেয়েছি। সেদিক বিবেচনায় আজ এই পণ্যটির বিস্তারিত বিষয়গুলো আলোচনা করবো।
Xiaomi Mijia LEMO 12 Digit Photoelectric Dual Drive Calculator, Xiaomi
as of July 31, 2024
Price History
Statistics
Current Price | BDT 890.00 | July 31, 2024 |
Highest Price | BDT 890.00 | May 1, 2024 |
Lowest Price | BDT 890.00 | May 1, 2024 |
Last price changes
BDT 890.00 | May 1, 2024 |
Xiaomi LEMO Photoelectric Calculator
Buy Xiaomi Mijia LEMO 12 digit photoelectric dual drive calculator online in Bangladesh from Cellsii.com. A photoelectric dual-power supply of light and button batteries. It automatically switches modes according to the environment. When there...
আসা যাক মূল আলোচনায়। দীর্ঘ এক ইন্ট্রো। ক্লান্ত হওয়ারই কথা। এবার তাহলে মূল আলোচনায় চলে যাওয়া যাক বাড়তি কিছু না বলে।
ফোটোইলেকট্রিক ডুয়াল পাওয়ার
প্রায় সব নরমাল ক্যালকুলেটরেই ডুয়াল পাওয়ার থাকে। তবে ডুয়াল পাওয়ারের ক্ষেত্রে ফোটোইলেকট্রিক সেন্সর সবসময় কার্যকর থাকে এমন না। যখন আপনার ক্যালকুলেটরে পাওয়ার আউটপুট ভালো থাকবে না তখন দেখবেন স্ক্রিনে অনেক সময় ডিজিট ঝাপাঝাপি করছে বা কাজ করার সময় স্ক্রিনে ডিজিট ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে না। বিষয়টি হয়তো অনেকের ক্ষেত্রেই এত বেশি চোখে পড়ে না। কিন্তু এই ক্যালকুলেটরে ব্যাটারি তো রয়েছেই পাশাপাশি রয়েছে ফোটোইলেকট্রিক সেন্সর।
ফোটোইলেকট্রিক সেন্সর থাকায় আপনার ব্যাটারির ওপর চাপ কমছে। আর শাওমি এটিতে AG10 ব্যাটারি ব্যবহার করেছে। তাদের দাবি, এই ব্যাটারি ৪০০০ ঘণ্টা কার্যকর থাকবে। ব্যাটারির আয়ু দীর্ঘ করার জন্য তারা অটোমেটিক ডিসপ্লে শাট ডাউনের ব্যবস্থা রেখেছে। এছাড়া আলোর মাধ্যমে ক্যালকুলেটরটি যেহেতু চলে সেহেতু ব্যাটারির ওপর চাপ কমে। ফলে একটানা ৪০০০ ঘণ্টা ব্যাটারির আয়ুর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ফোটোইলেকট্রিক পাওয়ার অপশন।
এবিএস ম্যাটারিয়াল ও আরামদায়ক ডিজাইন
নেহাৎ এক ক্যালকুলেটর তার আবার আরামদায়ক ডিজাইন। ক্যালকুলেটরে আপনি একদাগা সংখ্যা নিয়ে হিসাব করেন। ক্যালকুলেটর ভারি হলে এক জায়গায় বসে একটানা টিপতে হয়। হাতে নিতে গেলে যদি সেটার ব্যালেন্স ঠিক না থাকে তাহলে বিপদ! একটানা হাতে ধরে রাখায় হাত ধরে যায়।
যারা নিয়মিত ক্যালকুলেটর ব্যবহার করেন তারা এই সমস্যাগুলো ভালোভাবেই অনুধাবন করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রেই একটানা হিসেব করতে গিয়ে ক্যালকুলেটর বেখাপ্পা হওয়ায় হিসাব করতে অসুবিধা হয়। কিন্তু এই ক্যালকুলেটরটি সেদিক থেকে ভিন্ন।
প্রথমত, শাওমি এই ক্যালকুলেটরে এবিএস প্লাস্টিক ব্যবহার করেছে। সম্পূর্ণ সাদা রঙের ক্যালকুলেটরটি দেখতে সুন্দর তো বটেই পাশাপাশি প্লাস্টিকের হওয়ায় অনেক পাতলা। শাওমি এর আকৃতিও ছোট রেখেছে। ছোট আকৃতির হওয়ায় ক্যালকুলেটর ধরতে অনেক সুবিধা হয়। অনেকে বড় ক্যালকুলেটর পছন্দ করেন। ভাবেন ডিসপ্লে বড় হবে। কিন্তু সে সমস্যাও এখানে নেই। এর কারণটিই ব্যখ্যা করছি এর পরের সেকশনে।
এলসিডি ডিসপ্লে
আগের সেকশনে এর আরামদায়ক ডিজাইনের কথা বলছিলাম। এবার আসুন দ্বিতীয় আরামদায়ক ফিচারের আলোচনায় আসা যাক। এই ক্যালকুলেটরে একটি ভালো এলসিডি স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়েছে। স্ক্রিনটি একটু বাঁকানো। বাঁকানো হওয়ায় আপনি বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে ডিজিট দেখতে পারবেন।
আমার একটি জিনিস ভালো লেগেছে। এর স্ক্রিনটি সত্যিই ভালো। অনেক স্ক্রিস্প লাগে ডিজিটগুলো। বাঁকানো হলেই যে স্ক্রিনে ভালোভাবে ডিজিট দেখা যায় তা কিন্তু না। শাওমি নন রিফ্লেক্টিং একটি স্ক্রিন ব্যবহার করেছে। ফলে রোদের আলো বা অফিসের আলো স্ক্রিনে পড়ে আপনার দেখতে অসুবিধা করে না। আর যেহেতু স্ক্রিনে দেখতে অসুবিধা হয় না তাই খুব বড় স্ক্রিন প্রয়োজন হয় না। শাওমি স্ক্রিনের সাইজ ও ১২ ডিজিট ডিসপ্লের ক্ষেত্রেও সাইজিং ভালো রেখেছে। এই জায়গাতে তাদের ব্যালেন্সিং খুব ভালো হয়েছে। ডিজাইনটা ছোট কিন্তু সব মিলিয়ে ব্যালেন্সড। বাড়তি কিছু তারা রাখেনি।
অতিরিক্ত ফাংশন কম নয়
সাধারন একটা ক্যালকুলেটরে শর্টকাট নিয়ে কেউ অত মাথা ঘামায় না। তবে ক্যালকুলেটরে যখন হাজার টাকা খরচ করছেন তখন কিছু বাড়তি কিছু প্রত্যাশা করাই যায়। হোক না সাধারন হিসেব। তারপরও ক্যালকুলেটরে কিছু কাজ করা যাবেই।
শাওমির লেমো ক্যালকুলেটরে কিছু কাজের ফিচার রয়েছে। ক্লিয়ারিং ফাংশন, যোগের সর্বমোট হিসেব, মেমরি এলিমিনেশন, এরর এলিমিনেশন, বর্গমূল, শতাংশ, জিরোর ফাস্ট ইনক্রিজসহ আরও বেশকিছু হিসেব এটিতে করা যায়। স্কুল, অফিসসহ অনেক জায়গায় এই ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে। আজকাল সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর সবখানে নেয়ার সুযোগ নেই। তবে ক্যালকুলেটরে এসব বাড়তি ফিচার মন্দ নয়।
সেন্সিটিভ বাটন
ক্যালকুলেটরের বাটনই আসল। বাটন কোয়ালিটি ভালো না হলে দীর্ঘদিন ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যায় না। সাধারন ১২ ডিজিট ক্যালকুলেটর কেনাই হয় অনেকদিন ব্যবহারের জন্য। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এক কি দেড় মাসের পর বাটনগুলো লুজ হয়ে যায়। তখন অনেক সময় ডিজিট টাইপের জন্য জোর বেশি দিতে হয় অথবা এত লুজ হয় যে আস্তে চাপ দিলেও একাধিকবার ডিজিট চাপা হয়ে যায়।
তবে শাওমি এই ক্যালকুলেটরের বাটনগুলো ভালো দিয়েছে। হাই সেন্সিটিভ হওয়ায় আপনাকে বেশি চাপ দিতে হয় না আবার কম চাপও দিতে হয় না। ডিজিট টাইপের অভিজ্ঞতা হয় স্মুথ। সবচেয়ে বড় কথা, বাটনগুলো এত সহজে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও কম।
তাছাড়া বাটনের ওপর লেখাগুলো স্ক্রিন প্রিন্টিং ও ইউভি ইনোভেশনের মাধ্যমে করায় অনেকদিন ব্যবহারেও উঠে যাবে না। ফলে এক বা দেড় মাস ব্যবহারের পরও আউটলুক নষ্ট হওয়ার চান্স কম।
আখেরে যা বলা যায়
স্মার্ট ওয়াচ বা অন্য যেকোনো গ্যাজেটের মতো পেশাদার জীবনে ক্যালকুলেটরের প্রয়োজনীয়তাও কম নয়। তবে ভালো মানের ক্যালকুলেটর পাওয়ার বিষয়টি এখনও আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেনি। একটি ভালো ক্যালকুলেটর আপনাকে কত সুবিধা দেবে তা ভাবতেও পারবেন না। তবে অনেকেই বোঝেন। হাজার টাকা খরচ হলেও ভালো ক্যালকুলেটর কিনলে দীর্ঘমেয়াদে আপনারই লাভ। সরল পথে যদি একগাদা হিসাবের জটিলতার সমাধান খোঁজেন তাহলে শাওমির লেমো ফটোইলেকট্রিক ডুয়াল পাওয়ার ক্যালকুলেটর একটি চমৎকার অপশন।
GIPHY App Key not set. Please check settings