in

LoveLove

নতুন মায়েদের জন্য পরিপূর্ন পুষ্টি নিশ্চিত করতে ডায়েট টিপস

New Mothers' diet tips

মাতৃত্ব যতটা আনন্দদায়ক ঠিক ততটায় ঝুঁকিপুর্ন একটি প্রক্রিয়া। অনেক টানাপোড়েন এবং ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যখন একজন মা তার সন্তানকে পৃথীবিতে আনেন তখন পরিবারের সব সদস্য নতুন শিশুটিকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কিন্তু নবজাতকের যত্ন যতটা গুরুত্বপূর্ন, ঠিক ততটায় নতুন মায়ের যত্ন নেয়াও জরুরী। আর তাই আজকে আমরা নতুন মায়ের জন্য পুরোপুরি পুষ্টি নিশ্চিত করতে একটি ডায়েট টিপস নিয়ে আলোচনা করবো।  

এখানে আমরা এমন কিছু খাবারের কথা বলবো যেগুলো প্রসূতি মায়ের বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করে পরিপূর্ন পুষ্টি নিশ্চিত করে। কারন প্রসব পরবর্তী সময়ে মায়ের শরীর ভেতর থেকে অনেকবেশি দুর্বল থাকার কারনে খুব সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এছাড়াও একজন স্তন্যদানকারী মায়ের পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাদ্যের প্রয়োজন। চলুন তাহলে দেখি কি ধরনের খাবার একজন নতুন মায়ের ডায়েটে রাখবেন।

১। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার

প্রোটিন নতুন মায়েদের জন্য অপরিহার্য কারণ এটি শক্তি প্রদান করে এবং এটি নতুন মায়েদের শরীরে প্রসবজনিত ক্ষয় পূরনে সাহায্য করে। প্রোটিনের পরিমাণ বাড়াতে আপনার প্রতিদিনের খাবারে ডিম, চর্বিহীন মাংস এবং মাছ রাখুন। এছাড়াও, প্রোটিন শিশুদের জন্য দুধ উৎপাদনে সাহায্য করে যা নতুন মায়েদের জন্য একটি অতিরিক্ত সুবিধা। প্রোটিন জাতীয় খাবার আপনার বাচ্চাদেরও কোষ তৈরির প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।

২। সবুজ শাক – সবজি

পালং শাক এবং ব্রকলির মতো সবুজ শাকসবজিতে ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা নতুন মায়েদের জন্য খুব দরকারি। এই শাকগুলো শিশুর বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে এবং বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েরা এই সবজি থেকে অনেক উপকার পান।

এছাড়াও গাঢ় সবুজ শাকসবজিতে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন সি-ও থাকে এবং ক্যালরি কম থাকে যার কারনে এগুলো মা এবং শিশু উভয়ের হার্ট-এর স্বাস্থ্যের জন্যেও উপকারী।

অনেক টানাপোড়েন এবং ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যখন একজন মা তার সন্তানকে পৃথীবিতে আনেন তখন পরিবারের সব সদস্য নতুন শিশুটিকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কিন্তু নবজাতকের যত্ন যতটা গুরুত্বপূর্ন, ঠিক ততটায় নতুন মায়ের যত্ন নেয়াও জরুরী।

৩। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার

প্রসবের সময় মায়েদের শরীর থেকে প্রচুর রক্তপাত হয় তাই গর্ভাবস্থার পরে তাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। টোফু, টুনা ইত্যাদি সামুদ্রিক মাছের পাশাপাশী মাংস, মুরগি এবং ডিম সবই আয়রনের চমৎকার উৎস যা নতুন মায়েদের রক্তক্ষরণ পূরন করতে সাহায্য করে। শরীরে আয়রনের পরিমাণ কমে গেলে নতুন মায়েদেরও ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে। তাই পুষ্টি বাড়ানোর জন্য আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। 

৪। দুগ্ধজাত পন্য

দুধ, দই এবং পনিরকে ক্যালসিয়ামের পাওয়ার হাউস বলা হয়। তাই স্তন্যপান করানো মায়েদের খাদ্য তালিকায় যথেষ্ট দুগ্ধজাত খাবার থাকা গুরুত্বপূর্ণ যাতে শিশুদের হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এছাড়াও, দুগ্ধজাত খাবারে থাকা ভিটামিন ডি নতুন মায়েদের হাড়ের সুস্থতায় যাহায্য করে।

এছাড়াও দুগ্ধজাত খাবারে প্রোটিন এবং ভিটামিন বি থাকে তাই নতুন মায়ের খাবার তালিকাতে কমপক্ষে তিন কাপ দুগ্ধজাত খাবার রাখা জরুরী।

৫। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার

ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার বা লেবুর মতো সাইট্রাস ফল যেমন কমলা নতুন মায়েদের জন্য দারুণ পুষ্টিকর খাবার। এগুলো নতুন মায়েদের শরীরে একটি শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম তৈরি করতে সাহায্য করে এবং তাদের কাশি এবং সর্দি জাতীয় সমস্যা থেকে দূরে রাখে। তাছাড়া, ভিটামিন সি শরীরে আয়রন ভালোভাবে শোষণ করতে সাহায্য করে ফলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রিত থাকে। এটি ক্ষতিগ্রস্থ টিস্যু মেরামত করতে সাহায্য করে এবং শিশুর সঠিক বিকাশেও দারুন ভুমিকা রাখে।

কমলা আমাদের দেশে প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। এই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফলটি স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য অনেক উপকারী একটা ফল কারন গর্ভবতী মায়েদের তুলনায় স্তন্যদানকারী মায়েদের ভিটামিন সি বেশী প্রয়োজন এবং কমলা ভিটামিন সি-এর একটি খুব ভালো উৎস।

৬। পানি ও তরল জাতীয় খাবার

প্রসবের পরে হাইড্রেটেড থাকা নতুন মায়েদের জন্য একেবারে অপরিহার্য। প্রসবের সময়, মায়েদের শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে তরল বের হয়ে যায় তাই কম পানি খাওয়া নতুন মায়েদের মাথাব্যথা বা মাইগ্রেন হতে পারে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে।

এছাড়াও স্তন্যদানকারী মায়েদের প্রচুর পরিমানে পানীয় পান করা জরুরী। তাই পর্যাপ্ত পানির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকারের টাটকা ফলের রস, ঘরে তৈরি স্যুপ, দুধ ইত্যাদিও পান করা উচিত। আপনি কি একজন নতুন মা? আপনি কি আপনার সন্তান পরিপূর্ন পুষ্টি পাচ্ছে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত? তাহলে আজকের এই ডায়েট টিপসটি আপনার জন্য। উপরে আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার নিয়ে আলোচনা করেছি যা আপনার প্রসব পরবর্তী শারীরিক ক্ষতি পূরন করতে এবং নবজাতকের জন্য প্রয়োজনীয় দুধ উৎপাদনে সাহায্য করবে। আপনি ও আপনার নবজাতকের জন্য রইলো শুভকামনা।

What do you think?

Written by সানজিদা আলম

একজন ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটার। টেকনোলজি, স্বাস্থ্য, প্রোডাক্ট রিভিউ এবং ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করতে ভালো লাগে। লেখালেখির পাশাপাশি ভালোবাসি পড়তে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

টিডব্লিউএস ইয়ারবাডস সম্পর্কে অজানা তথ্য!

earbuds vs neckband

ইয়ারবাডস নাকি নেকব্যান্ডঃ কোনটি চাই