in

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এর মাধ্যমে ওজন কমাবেন কিভাবে

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং

ওজন কমানোর ট্রেন্ডে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বর্তমানে অনেক বেশী জনপ্রিয়। এমনকি অনেকেই এখন ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বা আইএফ এর মাধ্যমে ওজন কমানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আসলেই কি এই পদ্ধতিতে ওজন কমানো সম্ভব? যদিও এটা কোন যাদুকরী পথ নয় ওজন কমানোর তবে বেশ কিছু স্টাডি থেকে দেখা যায় যে এই পদ্ধতি অতিরিক্ত ওজন কমাতে বেশ সহায়ক। কিন্তু আপনি জানেন কি ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বিষয়টা আসলে কি? এটা খুব সহজ একটি বিষয়। দিনের ২৪ ঘন্টা সময়কে এখানে ২ ভাগে ভাগ করা হয়। ৮ ঘন্টা এবং ১৬ ঘন্টা। দিনের ৮ ঘন্টা আপনি খাবার খাবেন এবং পরের ১৬ ঘন্টা আপনি খাবার থেকে বিরত থাকবেন। কি খুব বেশি কঠিন মনে হচ্ছে কি? একদম কঠিন কিছু নয়। আপনার সুবিধার জন্য আজকে আমরা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এর মাধ্যমে কিভাবে ওজন কমাবেন সে বিষয়ে টিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করব। চলুন তাহলে শুরু করি।

১। দিনের ৮ ঘন্টা খাওয়ার সময় নির্বাচন করুন

আগেই বলেছি ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হচ্ছে ১৬ঃ৮ ঘন্টার ডায়েট প্ল্যান। তাই খাবার দিনের কোন সময় খাবেন তা ঠিক করে নিন। অনেকেই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খাওয়ার সময় নির্বাচন করে। ফাস্টিং এর জন্য সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত সময় বেছে নেয়। আপনি আপনার সুবিধাজনক সময় নির্বাচন করুন। চেষ্টা করুন ১৬ঃ৮ ঘন্টার এই খাবার গ্রহন এবং ফাস্টিং এর প্যাটার্ন একই রকম রাখতে। অর্থাৎ ধরুন আপনি সকাল ৮টা থেকে দুপুর ৪টা পর্যন্ত খাবার খেতে চান এবং বাকি সময়টা ফাস্টিং করতে চান তাহলে প্রতিদিন এই রুটিনই অনুসরণ করা উচিত হবে।

যদিও ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কোন যাদুকরী পথ নয় ওজন কমানোর তবে বেশ কিছু স্টাডি থেকে দেখা যায় যে এই পদ্ধতি অতিরিক্ত ওজন কমাতে বেশ সহায়ক। কিন্তু আপনি জানেন কি ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বিষয়টা আসলে কি? এটা খুব সহজ একটি বিষয়। দিনের ২৪ ঘন্টা সময়কে এখানে ২ ভাগে ভাগ করা হয়। ৮ ঘন্টা এবং ১৬ ঘন্টা। দিনের ৮ ঘন্টা আপনি খাবার খাবেন এবং পরের ১৬ ঘন্টা আপনি খাবার থেকে বিরত থাকবেন।

২। পরের ১৬ ঘন্টা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন

যে ৮ ঘন্টা সময় আপনি খাওয়ার জন্য নির্বাচন করেছেন তার পর থেকে বাকি ১৬ ঘন্টা সময় আপনাকে খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এত দীর্ঘ সময় খাবার থেকে বিরত থাকতে প্রথম প্রথম কিছুটা সমস্যা হলেও পরে ধীরে ধীরে আপনি এই প্যাটার্নে অভ্যস্ত হয়ে পড়বেন। তবে আপনার ফাস্টিং এর সময়েও আপনি প্রচুর পানি পান করতে পারবেন। এই সময় আপনি জিরো ক্যালোরির যেকোন পানীয় পান করতে পারবেন। তবে অবশ্যই চা/কফি, যে কোন সফট ড্রিংস অথবা মিস্টি ফলের রস এড়িয়ে যেতে হবে।  

৩। স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে

আপনি যে ৮ ঘন্টা সময় খাওয়ার জন্য নির্বাচন করবেন সে সময় আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমানে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। পুষ্টি বিদদের মতে এই সময় আপনার প্রচুর তাজা ফল, শাকসবজি, এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। আপনি এই সময় মাছ/মাংস সাথে শাকসবজি, ডাল, ভাত ও রুটি খেতে পারেন। সেই সাথে দই ও টাটকা ফল খেতে পারেন।

৪। ফাস্টিং এর সময় স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন

১৬ ঘন্টা ফাস্টিং এর সময় আপনি ক্ষুধা অনুভব করতেই পারেন। কিন্তু ক্ষুধা দূর করার জন্য কোন ভাবেই স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। কারণ যে কোন প্রকার স্ন্যাক্স আপনার ওজন কমানোর এই চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিতে পারে। তাই ক্ষুধা দূর করতে পর্যাপ্ত পানি ও সবজির জুস খেতে পারেন।

৫। খুব বেশী ক্ষুধা বোধ হলে ১৪ঃ১০ ঘন্টার ফাস্টিং করতে পারেন

আপনি যখন প্রথম ইন্টামিটেন্ট ফাস্টিং শুরু করবেন তখন ১৬ঃ৮ ঘন্টার শিডিউলটি কঠিন মনে হতে পারে। টানা ১৬ ঘন্টা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে যদি খুব বেশী অসুবিধা হয়, বা আপনি যদি খুব বেশী ক্ষুদার্থ বা অসুস্থ বোধ করেন তবে ১৬ঃ৮ ঘন্টার পরিবর্তে ১৪ঃ১০ ঘন্টার শিডিউল অনুসরণ করতে পারেন। ধীরে ধীরে এই শিডিউলে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে পরবর্তিতে শিডিউল পরিবর্তন করতে পারেন।

৬। ওজন কমানোর জন্য এক দিন পর পর আইএফ করুন

ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হল এক দিন পর পর আইএফ করা। অর্থাৎ আপনি সপ্তাহে তিন দিন যেমন শনি, সোম, বুধ বা রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতিবার ফাস্টিং করতে পারেন। আর বাকি দিনগুলো স্বাভাবিক খাবার খেতে পারেন। সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলোতে লো ক্যালোরির খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনি স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমাতে পারবেন।

৭। প্রাথমিকভাবে সাপ্তাহিক ৫ঃ২ হিসেবে ফাস্টিং করতে পারেন

প্রথম দিকে ফাস্টিং খুব বেশী কঠিন মনে হলে সপ্তাহে ২ দিন ফাস্টিং এবং ৫ দিন স্বাভাবিক খাবার খাওয়ার মাধ্যমেই এই ডায়েট শুরু করতে পারেন। এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে ধীরে ধীরে সময় বাড়াতে পারেন। সপ্তাহে রবিবার ও বৃহস্পতিবার ফাস্টিং করতে পারেন। আর বাকি দিনগুলো তুলনামূলক লো ক্যালোরির স্বাভাবিক খাবার খেতে পারেন।

যে কোন ডায়েট শুরু করার আগে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিতে ভুলবেন না। আপনার যদি ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশার বা পেটের কোন দীর্ঘমেয়াদী রোগ থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ডায়েট শুরু করবেন। আশাকরি এখন আপনি ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এর মাধ্যমে ওজন কমাবেন কিভাবে তা বুঝে গেছেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

What do you think?

Written by সানজিদা আলম

একজন ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটার। টেকনোলজি, স্বাস্থ্য, প্রোডাক্ট রিভিউ এবং ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করতে ভালো লাগে। লেখালেখির পাশাপাশি ভালোবাসি পড়তে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

হালাল খাবার

ইসলামে হালাল খাদ্যের গুরুত্ব ও উপকারীতা

সেহরির সহীহ উপায়

রমজানে সেহরি খাওয়ার সহীহ উপায়