in

CuteCute LoveLove

টিডব্লিউএস ইয়ারবাডস সম্পর্কে অজানা তথ্য!

সমস্যা ও সমাধানের উপায়

মন খারাপ হোক কিংবা মন ফুরফুরে। বেশির ভাগ সময়-ই আমরা উপভোগ করি গান দিয়ে। আর এই গান শোনার জন্য আমরা এই যাবৎ কালে ব্যবহার করে আসছিলাম ইয়ারফোন কিংবা হেড ফোন।লাউড স্পিকারেও অনেকে গান শুনেন। কিন্তু আমি মনে করি লাউড স্পিকারে গান চালিয়ে আমাদের আশেপাশের মানুষজনকে বিরক্ত করা একদমই উচিত নয়।

শুধু গান কেনো বলছি। কারো সাথে দীর্ঘসময় কথা বলা কিংবা গেমস খেলা, সকল ক্ষেত্রেই আমাদের একটি ইয়ারফোন না হলে চলেই না। প্রযুক্তি দিন দিন আপডেট হচ্ছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদের শখ আহ্লাদও দিন দিন বাড়ছে।

ইয়ারফোন ব্যবহার করা কত ঝামেলা। তারের প্যাচ হলো এইটার সবচেয়ে বেশি ঝামেলার দিক। তারের প্যাচ খুলতে খুলতে দেখা যায় ৫ থেকে ৬ মিনিট চলে যায়। শুধু কি তাই, রাস্তাঘাটে চলার সময় যখন আমরা গান শুনি, তখনও কিন্তু ঠিকঠাক ভাবে ইয়ারফোন ব্যাবহার করতে পারি না। তো এসব দিক মাথায় রেখে বাজারে এখন পাওয়া যাচ্ছে টিডব্লিউএস ইয়ারবাডস (TWS Earbuds)। কোনো ঝামেলা নাই। শুধুমাত্র পয়েন্ট থেকে খুলে কানে লাগিয়ে দিন। ব্যাস! কাজ শেষ।

আপনার মোবাইল আছে খাটের উপর, অন্যদিকে আপনি পুরো রুম ঘুরে ঘুরে গান শুনতেছেন কিংবা কথা বলতেছেন। ব্যাপারটি কিন্তু আসলেই মজার। এক ক্লিক করেই গান চেঞ্জ কর‍তে পারবেন। কল রিসিভ করতে পারবেন। এই একটি সুবিধাই যেকারো কাছে এটি পছন্দের শীর্ষ কারন হতে পারে এতে কোন সন্দেহ নাই।

বাজারে এখন হাজার রকমের ইয়ারবাডস পাওয়া যায়। মানুষের সংখ্যার চেয়ে মনে হয় TWS এর ব্র‍্যান্ডের সংখ্যাই বেশি! কোনটা রেখে কোনটা কিনব। কোনটা ভালো হবে কিংবা খারাপ এসব নিয়ে আমরা পরে যাই মহা বিপদে। তো আজকে আমি আলোচনা করব টিডব্লিউএস ব্লুটুথ এয়ারবাডস নিয়ে। এর সুবিধা গুলো কি, এর অসুবিধা কি এবং কোন এয়ারবাড আপনার জন্য ভালো এবং সবশেষে আলোচনা করব কিভাবে এইটা ব্যাবহার করতে হয়। তো আসুন শুরু করা যাক।

টিডব্লিউএস ব্লুটুথ এর সুবিধাসমূহ

ব্লুটুথ ইয়ারবাড এর সুবিধার মধ্যে আমার কাছে উল্লেখযোগ্য মনে হয়েছে, এটি একটি ওয়ারলেস ডিভাইস। কোনো প্রকার তারের ঝামেলা থাকছে না ইয়ারবাডে। আপনার মোবাইল আছে খাটের উপর, অন্যদিকে আপনি পুরো রুম ঘুরে ঘুরে গান শুনতেছেন কিংবা কথা বলতেছেন। ব্যাপারটি কিন্তু আসলেই মজার। এক ক্লিক করেই গান চেঞ্জ কর‍তে পারবেন। কল রিসিভ করতে পারবেন। এই একটি সুবিধাই যেকারো কাছে এটি পছন্দের শীর্ষ কারন হতে পারে এতে কোন সন্দেহ নাই।

টিডব্লিউএস এর অসুবিধা সমূহ

সব কিছুর যেমন সুবিধা থাকে ঠিক তেমনি অসুবিধাও থাকে। কিন্তু দেখতে হবে যে কোনটার অনুপাত কেমন। অসুবিধার অনুপাত যদি বেশি হয়ে যায় তবে সেটি থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।

টিডব্লিউএস এর সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ল্যাটেন্সি। আপনি যদি নরমাল কোনো ব্রান্ডের ইয়ারবাডস কিনে থাকেন তাহলে এই জিনিসটা আপনাকে হারে হারে ভোগাবে। কোনো নাটক দেখতে বসছেন, ভিডিওর সাথে অডিও-র মিল পাচ্ছেন না। আডিও আগ পিছ হয়ে যাচ্ছে। যদি আপনি গেমার হয়ে থাকেন তাহলে তো আপনার জন্য কমদামি টিডব্লিউএস হারাম। এগুলো দিয়ে শব্দ শোনার আগেই দেখা যাবে গেম অভার হয়ে গেছে।

ইয়ারবাডসের ব্যাটারি লাইভ খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই কেনার আগে খেয়াল করুন এর ব্যাটারি কত এমএএইচ (mAh)

কমদামি ইয়ারবাডে আরো একটি সমস্যা হলো চার্জিং ইস্যু। ওয়ারড ইয়ারফোনে কিন্তু আপনাকে কখনোই চার্জিং নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। কিন্তু ব্লুটুথ ইয়ারবাডে আপনাকে চার্জ নিয়ে একটু চিন্তা করতে হবে। কমদামি এয়ারবাড গুলোতে সাধারণত ১০০ থেকে ২০০ আম্পায়ের (mAh) ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। এটি দিয়ে আপনি ২ থেকে ৩ ঘন্টার বেশি ব্যাকাপ পাবেন না। আমার কাছে এই দুইটি-ই মেজর সমস্যা ধরা পরেছে ইয়ারবাডে। তবে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। সমস্যার সমাধানও কিন্তু রয়েছে।

কোন ব্র‍্যান্ড বা কত দামের মধ্যে কিনব?

এই টিডব্লিউএস এর জগতে রাজত্ব করছে আইপড। অ্যাপল এর কয়েকটা আইপড রয়েছে যেগুলোর কোয়ালিটি ১০০%। কিন্তু আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের তো আর ২৫-৪০ হাজার টাকা দিয়ে ইয়ারবাড কেনার সক্ষমতা নাই।
২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫০০-৫০০০ টাকার মধ্যে বেশ ভালো ভালো ব্র‍্যান্ডের ইয়ারবাড আপনি পেয়ে যাবেন। শাওমির সাব ব্র‍্যান্ড হ্যায়লিয়োকে আমি প্রথমে রাখব এখানে। ওদের বেশ কয়েকটা মডেল বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ১২০০ টাকা থেকে শুরু করে বেশ ভালো মানের ইয়ারবাড পেয়ে যাবেন। গেমিং এর জন্যেও বেশ সুবিধাজনক এই ইয়ারবাড গুলো।

এরপর যদি বলা হয় তাহলে আমি বলব ওয়ানপ্লাস (OnePlus) এবং বাসাস (Baseus) ব্র্যান্ডের এর ইয়ারবাড। এ দুই ব্র্যান্ডের ইয়ারবাডসের ডিজাইন থেকে শুরু করে কোয়ালিটি বেশ চমৎকার। তবে ওয়ানপ্লাস ইয়াবাডস পছন্দ তালিকায় রাখতে চাইলে বাজেট একটু বাড়তি গুণতে হতে পারে। আবার আপনি যদি গেমার হয়ে থাকেন তবে আপনার জন্য প্লেক্সটন (Plextone) ভালো হবে। গান শোনা এবং কথা বলার জন্যও ভালো এটি। আমি আর ভিতরে যাচ্ছি না। বেশ বড় হয়ে যাবে আর্টিকেলটি। আমি টিডব্লিউএস এর মডেল রিভিউ নিয়ে অন্য একদিন আলোচনা করব।

সমস্যা গুলো সমাধানের উপায়

নন ব্র‍্যান্ডের ইয়ারবাডস এর প্রধান এবং অন্যতম সমস্যা হচ্ছে পেয়ারিং না হওয়া। একটা কানেক্ট হচ্ছে তো আরেকটা কানেক্ট হচ্ছে না। দুটোতে একসাথে আপনি লাইন পাচ্ছেন না। এর থেকে বাঁচার কয়েকটি উপায় আছে।

প্রথমে আপনার বাড দুটিকে একসাথে অফ করে নিন। আপনার মোবাইলের ব্লুটুথ অন করুন। এবং ব্লুটুথ অপশনে দেখবেন Pair compatible device নামের একটি অপশন আছে। এই অপশনটিকে অন করে দিন। এবার আপনার বাড দুটি একসাথে অন করুন। দেখবেন কি চমৎকারভাবে দুটি বাড-ই একসাথে কানেক্ট হয়ে গেছে।

এরপরও কাজ হচ্ছে না?

সমাধান আছে। চলে যান গুগল প্লেস্টোরে। Earbud control themes নামে একটি এপস পাবেন। এইটি ইনস্টল করে আপনার  বাড কানেক্ট করুন। এরপর ও যদি কানেক্ট না হয় তবে বুঝতে হবে আপনার বাডে সমস্যা রয়েছে।

ল্যাটেন্সি কমানোর উপায়

আমাদের আশেপাশে যত ওয়ারল্যাস যন্থপাতি দেখতে পাই সব কিছুতেই ব্যবহার করা হয় 2.5hz এর ফ্রিকুয়েন্সি। ওয়াওফাই রাউটার থেকে শুরু করে সীম নেটওয়ার্ক এমনকি আপনার টিভির রিমোটও এই ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে। তো একই ধরনের ফ্রিকুয়েন্সি থাকলে জ্যাম হওয়াটাই স্বাভাবিক। কোনটা রেখে কোনটা বাড নিবে তাই না? আর এই জ্যামের ফলাফল ই হচ্ছে ল্যাটেন্সি।

তো এই ল্যাটেন্সি কমানোর জন্য আপনি 2.5hz এর জায়গায় যদি 2.0hz করে দিতে পারেন তবে একটু হলেও ল্যাটেন্সি কমানো সম্ভব। বেশ কিছু সফটওয়্যার রয়েছে ইয়ারবাডের অপশন কাস্টমাইজ করার জন্য। আপনি চাইলে এসব সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন ল্যাটেন্সি কমানোর জন্য।

শেষের দিকে চলে এসেছি। ইয়ারবাড নিয়ে মোটামুটি একটি আইডিয়া আশা করি পেয়ে গেছেন। আরো কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই আমাকে কমেন্টে জানাবেন।

What do you think?

Written by এস এম কাফি

নটরডেম কলেজ, ব্যাচ-২২। ওয়ার্ডপ্রেসে দক্ষ্য, যেকোনো বিষয়ের উপর আর্টিকেল এবং ডকুমেন্টারি লিখতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

Alarm Clock

অ্যালার্ম ক্লক: সময়ের কাজ সময়েই হোক

New Mothers' diet tips

নতুন মায়েদের জন্য পরিপূর্ন পুষ্টি নিশ্চিত করতে ডায়েট টিপস