in

গেমিং হেডফোন কেনার আগে যা অবশ্যই জানা দরকার

২য় পর্ব

Gaming headphone

একটি ভালো গেমিং হেডফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো অবশ্যই জানা দরকার অর্থাৎ একটি ভালো গেমিং হেডফোনে কি কি বিষয় থাকা জরুরী তা কেনার আগেই জেনে রাখা ভালো। আর এ বিষয়গুলো নিয়েই আমাদের এবারের পর্ব। আর গেমিং হেডফোনের প্রাথমিক বিষয়গুলো আমরা গত পর্বেই জেনেছি – গেমিং হেডফোন কি? কেন কিনবেন গেমিং হেডফোন?

বাজারে তো অনেক ব্র্যান্ডের গেমিং হেডফোন পাওয়া যায়। একেক ব্র্যান্ডের আবার একাধিক মডেল – এত্তসব ব্র্যান্ড, মডেল ইত্যাদির ভীরে কীভাবে আপনি আপনার জন্য একটা পার্ফেক্ট এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি গেমিং হেডফোন কিনতে পারবেন সেটাই আমাদের আজকের পর্বের আলোচনার বিষয়বস্তু।

একটি ভালো গেমিং হেডফোন চেনার সহজ উপায় হলো সেই হেডফোনে কি কি ফিচার আছে তা যাচায় করা। নিচের দরকারী ফিচারগুলো আছে কি নাই তা দেখে সহজের বুঝে যাবেন কোন হেডফোনটি ভালো এবং আপনার জন্য উপযুক্ত।

একটি গেমিং হেডফোন যত ভালোই হোক, যেহেতু এটি দীর্ঘক্ষণ কানে লাগানো থাকবে তাই ডিভাইসটি কতটা আরামদায়ক তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য হেডফোন কেনার আগে প্রথমে যাচায় করে নিন, এটি আপনার মাথা এবং কানের সাথে ঠিকঠাক মিলছে কিনা।

নয়েজ ক্যানসেলিং

গেমিং হেডফোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ফিচার হলো নয়েজ ক্যানসেলিং। এটি আপনার আশেপাশের শব্দকে ফিল্টার করে গেমিং শব্দ কে করবে আরো ক্লিয়ার যা গেমের প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এমন কি যদি আপনি কোন শব্ধদূষণপ্রবণ এলাকায় থাকেন সেখানে নির্বিগ্নে বসে গেম খেলতে পারবেন। আশেপাশের কোন শব্দই আপনার শত্রুকে ঘায়েল করার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দারাবে না। তাই হেডফোন কেনার আগে নয়েজ ক্যানসেলিং ফিচার আছে কিনা তা অবশ্যই জেনে নিন।

কতটা আরামদায়ক তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ

একটি গেমিং হেডফোন যত ভালোই হোক, যেহেতু এটি দীর্ঘক্ষণ কানে লাগানো থাকবে তাই ডিভাইসটি কতটা আরামদায়ক তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য হেডফোন কেনার আগে প্রথমে যাচায় করে নিন, এটি আপনার মাথা এবং কানের সাথে ঠিকঠাক মিলছে কিনা। যদি তা না হয় তবে লম্বা সময় ব্যবহারের কারণে নানা শারীরিক জটিলতার কারণ হিসেবে দেখা দিতে পারে এই গেমিং হেডফোন।

যদি আপনার হেডফোনের ফোম প্যাড গুলো ভালোভাবে আউটপুট না দেয়, আপনি কিন্তু ইফেক্টিভ সাউন্ড পাবেন না। কাজেই এমন হেডফোন কিনুন যেটার স্পেয়ার প্যাড আছে। এছাড়া আপনার যদি গেম চলাকালীন চোখে সানগ্লাস পরার অভ্যাস থাকে, সেক্ষেত্রে এমন হেডফোন বেছে নিন যেটার এয়্যার প্যাড এ আইওয়্যার চ্যানেল আছে।

দাম ও মানের বিষয়ে কোন ছাড় নেই

শুধু গেমিং হেডফোন কেন, যেকোন পণ্য কেনার সময় ২টা বিষয় আমাদের মাথায় থাকে আর তা হলো তুলনামূলক কম দামে সবচেয়ে ভালোটা কেনা। গেমিং হেডফোন কেনার বেলায়ও তাই। তবে মাথায় রাখা উচিত যে এটা কানে দীর্ঘক্ষণ লাগিয়ে রাখতে হবে। কাজেই বাজেট একটু বেশি হলেও ভালো হেডফোনটিই কেনা উচিত। বাজারে কম বাজেটের যেসব হেডফোন পাওয়া যায়, বেশিরভাগই প্লাস্টিক ফ্রেম এর। প্লাস্টিক ফ্রেম মানে খারাপ হবে এমন কিছু না বরং জেবিএল ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে নামিদামি অনেক ব্র্যান্ডের হেডফোনই প্লাস্টিক ফ্রেমে তৈরি। বরং অন্যান্য ফিচার ঠিক আছে কিনা সেটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাজেট বারিয়ে মেটালের তৈরী হেডফোন নিতে পারেন। বাংলাদেশের বাজারে প্লেক্সটোন () ব্র্যান্ড যারা কিনা শুধুমাত্র গেমিং হেডফোনের জন্যই জনপ্রিয় এবং কোয়ালিটি নিয়েও আপোশহীন।

আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারি

কথায় আছে আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী। কম্পিউটার বা মোবাইলে গেম খেলাটা একটা শখের বিষয়। তাই শখের হেডফোনটি যদি হয় যেনতেন দেখতে তাহলে প্রথমেই আকর্ষণে একরকম ভাটা পরবে। তাই অবশ্যই গেমিং হেডফোনে গেমার লুক থাকা এবং ট্রেন্ডি হওয়াটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মাইক্রোফোন সাপোর্ট

ঘরোয়া ভিডিও গেমাররা প্রায়ই সাধারন মানের গেমিং হেডফোন ব্যবহার করেন যেটার একটা ডিটাচেবল মাইক্রোফোন থাকে। এটা আসলে তেমন ইউজার ফ্রেন্ডলি হয় না। তবে গেমিং হেডসেটের সাথে যে মাইক্রোফোন থাকে তা আসলে অনেক ডিপ বাস। যদিও এখানে টুকটাক বিষয়গুলো এডজাস্ট করা যায়, তবুও হেডফোন কেনার আগে ইউটিউবে বা বিভিন্ন রিভিউ দেখে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আগেভাগেই যাচায় করে নেয়া ভালো।

৩৬০ ডিগ্রি সাউন্ডস্কেপ

এই  ফিচারটা কিরকম হবে নির্ভর করে আপনার ডিভাইস এবং আপনি কোন ধরনের গেম খেলছেন তার উপর। বাজারের এডভান্স লেভেলের গেমিং হেডফোন যেগুলো সারোন্ড সাউন্ড ফিচার করে, সাধারণত ৩৬০ ডিগ্রি সাউন্ডস্কেপ কাভার করে দুই কানের প্রতিটা স্পিকারে। এই ফিচার থাকার সুবিধা হলো, যদি আপনার ডান কান এর সাইড থেকে কোন শব্দ আসে, আপনি সেটা সেই ডিরেকশন থেকেই শুনবেন। আসলে এটা একটা লাক্সারী ফিচার, যেটা কিনা একেবারে রিয়্যাল কম্পিটিটিভ অনুভূতি দেয় হাই লেভেল গেমারদের।

What do you think?

Written by রোজী আরেফিন রুমী

মাস্টার্স ইন ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক। একজন রেজিস্টার্ড ফার্মাসিস্ট এবং ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটার। এছাড়াও একজন ট্রাভেলার, ব্লগার এবং ইউ টিউবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

ভ্যাকুয়াম ক্লিনার

ভ্যাকুয়াম ক্লিনার কি এবং এর প্রকারভেদ

effective-home-remedies-to-treat-and-get-rid-of-dandruff

খুশকি সমস্যার আদ্যোপান্ত ও মুক্তি লাভের কার্যকরী ঘরোয়া উপায়