একজন গেমারের কাছে গেমিং হেডফোন কি, এটি কেন কিনতে হবে এর বিশেষত্ব কি এসব বলা নেহায়েত বোকামি। তবে যেহেতেু এটি একটি ধারাবাহিক লেখা হবে তাই সাধারণ কিছু তথ্য দিয়ে আলোচনা শুরু যাক। আশা করা যায় এক্সপার্ট গেমার থেকে শুরু করে সবাই উপকৃত হবেন।
প্রতিটা কম্পিউটার গেমার জানেন গেমস চলাকালীন এনিমি মানে শত্রুর স্ট্রাইক গুলোতে ফোকাস করাটা কতটা জরুরী। ধরে নিন আপনি গেমস খেলছেন, আর বাসায় অন্য রুমে টিভি চলছে, পাশের বাসার আন্টি আংকেল হাই ভল্যিউমে ঝগড়া করছে- এমতাবস্থায় পারবেন আপনার শত্রুর প্রতিটা স্ট্রাইক, ফায়ারিং এ ফোকাস করতে? পারবেন না! এখানেই আসে গেমিং হেডফোনের প্রয়োজনীয়তা। যার মাধ্যমে আশেপাশের সমস্ত এক্সটারনাল সাউন্ড থেকে নিজেকে সরিয়ে শুধু গেমের প্রতি মনোনিবেশ করাতে সাহায্য করবে।
সত্যি কথা কি জানেন? আপনি যদি আমার মতো পাগল টাইপের কম্পিউটার গেমার হোন, যে কিনা শত্রুর প্রতিটা স্ট্রাইকের জবাব দিতে চায় পুঙ্খানুপুঙ্খ, তাহলে গেমিং হেডফোন আপনার লাগবেই লাগবে!
ধরে নিন আপনি গেমস খেলছেন, আর বাসায় অন্য রুমে টিভি চলছে, পাশের বাসার আন্টি আংকেল হাই ভল্যিউমে ঝগড়া করছে- এমতাবস্থায় পারবেন আপনার শত্রুর প্রতিটা স্ট্রাইক, ফায়ারিং এ ফোকাস করতে? পারবেন না! এখানেই আসে গেমিং হেডফোনের প্রয়োজনীয়তা।
চলুন এবার মূল আলোচনা যাওয়া যাক-
কেন কিনবেন গেমিং হেডফোন?
এক কথায় গেমসে পুরোপুরি মনোনিবেশ করতে গেমিং হেডফোনের কোন বিকল্প নেই। নিচে গেমিং হেডফোন ব্যবহারের পাঁচটি প্রয়োজনীয়তা বা সুবিধার নিয়ে আলোচনা করবো।
১. ব্যালেন্সড সাউন্ড সিস্টেম
একটা গেমিং হেডফোন গেমস চলাকালীন আপনার শত্রুর প্রতিটা ফায়ারিং, ফুটস্টেপ, প্রতিটা সাউন্ডিক মুভমেন্ট আপনাকে সরাসরি শুনতে সাহায্যে করে। এই হেডফোন গুলো সরাসরি গেমসের প্রতিটা ম্যুভমেন্ট এর সাথে আপনার কান এবং মস্তিস্কের এক ভিজ্যুয়ালাইজেশন সম্পর্ক তৈরি করে যার ফলে সহজেই বুঝতে পারেন ঠিক কখন একেবারে সুনিপুনভাবে আপনার শত্রুকে পালটা জবাব দিয়ে গেমসের পুরোটা দখলে নিবেন।
২. গেমে মনোনিবেশ বাড়াতে সাহায্য করে
এটা নিয়ে শুরুতেই বলা হয়েছে যে গেমিং হেডফোনের বৈশিষ্টই হচ্ছে এটি আপনাকে গেমের প্রতি পুরো মনোনিবেশ করাতে সাহায্য করবে। তাই আশেপাশের শব্দে আপনার গেম খেলা ব্যাহত হবে না।
৩. অন্যের বিরক্তির কারণ হয় না
গেমিং হেডফোন ছাড়া গেম গেলতে গেলে নিশ্চিত পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরক্তির কারণ হবেন। ধরুন রাতের বেলায় গেমস খেলছেন। আপনার কাছে কোন গেমিং হেডফোন নেই। পাশের রুমেই আপনার বাবা মা শুয়ে আছেন। এখন গেমস চলাকালীন প্রতিটা স্ট্রাইক, ফায়ারিং এর যে শব্দে নিশ্চিত তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে। তাই কানে হেডফোন লাগিয়ে গেম খেলুন, অন্যকে বিরক্ত করা থেকে বিরত থাকুন।
৪. টিম কমিউনিবেশন
গেমিং হেডফোন ব্যবহারের আরেকটি সুবিধা হলো, এটা আপনাকে আপনার অন্যান্য টিম মেম্বারদের ( যদি অনলাইন গেমার হয়ে থাকেন এবং আপনার আরো পার্টনার থাকে) সাথে টিম কমিউনিকেশনের সুবিধা দেয় যা সাধারণ হেডফোনে সম্ভব না।
আজ এ পর্যন্তই! গেমিং হেডফোন নিয়ে আমার পরবর্তী লেখা পাওয়া যাবে খুব শীগগিরই। আশা করছি পরবর্তী লেখাটিও মিস করবেন না।
GIPHY App Key not set. Please check settings