in ,

CuteCute LoveLove

প্রেজেন্টেশনের টেনশন কমাবে বাসাস ওয়্যারলেস প্রেজেন্টার

Baseus Orange Dot Wireless Presenter Red Laser

প্রেজেন্টেশন। এই একটি শব্দ এখন অনেকের কাছেই পছন্দের একটি বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের প্রেজেন্টেশন অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে দেয়া হলে তারা বিরক্ত হয় প্রথমে। কিন্তু প্রেজেন্টেশন সুন্দর করার জন্য তাদের চেষ্টার তো কমতি নেই।

শুধু শিক্ষার্থীই বা কেন? একবার ভাবুন শিক্ষকদের কথা। ভাবুন একবার মোটিভেশনাল স্পিকারের কথা। অফিসের কোনো মিটিং করার সময় সাদা বোর্ডে না দেখিয়ে প্রজেক্টরে দেখাতে হয়। অনেক সময় সেমিনারে বক্তব্য দেয়ার সময় ল্যাপটপে স্লাইড ঠেলে কাজ চালাতে হয়।

এভাবে উদাহরণ দিলে তো শেষ হবে না। দেয়াই হতে থাকবে। ল্যাপটপ বা অন্য ডিভাইস ব্যবহারে প্রেজেন্টেশন দিতে গেলে একটু ঝামেলায় পড়তেই হয়। ল্যাপটপে অনেক সময় বাটনে ক্লিক করলেও রিস্পন্স হয় না। সামান্য এক সেকেন্ডের ঝামেলা। কিন্তু ওই এক সেকেন্ডেই দেখা যায় আপনার বক্তব্যের ন্যাচারালিটি হারাতে শুরু করে।

এই সমস্যার সমাধান কি? অনেকে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। কিন্তু স্মার্টফোন দিয়েও অনেক সময় কিছু সমস্যা হয়। মিসটাচের কারণে হুট করে ব্যাকগ্রাউন্ডে চলে গেলে আপনি বিব্রত হতেই পারেন। মনোযোগ সরতেই পারে।

তাই প্রশ্ন, সমাধান কি ভাই? সমাধান হলো প্রেজেন্টার লেজার কেনা। আপনি যদি নিয়মিত প্রেজেন্টেশন বা সেমিনার আয়োজন করে থাকেন তাহলে প্রেজেন্টার কেনা মাস্ট। বাজারে যদিও প্রেজেন্টার এখন অনেক আছে। সাধারন মানের প্রেজেন্টার অত ভালো সার্ভিস দেয় না।

নির্ভরযোগ্য প্রেজেন্টার লেজারের মধ্যে বাসাস ব্র্যান্ডের অরেঞ্জ ডট ওয়্যারলেস প্রেজেন্টার রেড লেজার। কেন আমাদের মনোযোগ পড়লো এই পণ্যে। আমাদের টিমের একজন এই পণ্যটি আমার কাছে নিয়ে আসে। সে ব্যবহার করে উচ্ছ্বসিত। আমিও তার কথায় একটু নেড়েচেড়ে ঘেটে দেখি। আমার কাছে মনে হয়েছে এই প্রেজেন্টারটি কতটা ভালো। আপনাদের কনভিন্স করার কিছু তথ্যই এখানে তুলে ধরি।

বাসাস ওয়্যারলেস প্রেজেন্টার

বাসাস অনেক জনপ্রিয় ব্র্যান্ড আমাদের দেশে। তাদের মোবাইল ফোন এক্সেসরিস, স্পিকার, পাওয়ার ব্যাংকসহ বহু পণ্য ইতোমধ্যে অনেকের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। এই ব্র্যান্ড সচরাচর প্র্যাক্টিক্যালিটিকে গুরুত্ব দেয়। যে পণ্য কাজে আসবে দৈনন্দিন জীবনে সেটিই তারা বানায়।

বাসাস অরেঞ্জ ডট ওয়্যারলেস প্রেজেন্টার লেজারও তেমনি একটি। সমস্যা হলো, অনেকেই এই পণ্যটি সম্পর্কে কিছু জানেন না। মূল কারণ তারা এখনো এর প্র্যাক্টিক্যালিটি বুঝতে পারেনি। প্রেজেন্টার নিয়ে কে আর মাথা ঘামায়?

আমরা ঘামিয়েছি আর এখন সেটাকে আপনার সামনে উপস্থাপন করছি। চলুন জেনে নেয়া যাক কেন এই পণ্যটি অসাধারন।

প্রথমেই কথা হবে লেজার নিয়ে

ছবিতে যেমন দেখছেন, এই প্রোডাক্টটি একটা রিমোট। বাসাসের দাবি এই রিমোটের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রেজেন্টেশন আরো ন্যাচারালি দিতে পারবেন। দিতে পারাটাই স্বাভাবিক। কারণ রিমোট হাতে থাকলে আপনাকে কম্পিউটারে টুকটাক টিপতে হবে না।

হতে পারে আপনি বড় অডিটোরিয়ামে  আপনার ভাষণ দিচ্ছেন। সবার মনোযোগ আকর্ষণ করতেই আপনাকে হাটাহাটি করতে হবে। কিন্তু স্লাইড তো আছে। এখন কি করা যায়? এই রিমোট থাকলে কাজটা কত সহজ হয় ভাবেন?

এ কথা সবাই জানে। কিন্তু যেটা জানে না, এই রিমোটের বাটন কাস্টোমাইজ করা যায়। বাটনগুলোও সুন্দরভাবে সাজানো। আপনি কিভাবে স্লাইডের কোন অংশে যাবেন তা বাটনে সেট করে নিতে পারবেন।

অবশ্যই এর ডিজাইন এস্থেটিকটি দূর্দান্ত হয়েছে এলুমিনিয়াম অ্যালয় বিল্ড ম্যাটারিয়ালের জন্য। একটি প্রেজেন্টার আপনার হাতেই থাকবে। কিন্তু প্রেজেন্টেশন দেয়ার সময় হুট করে হাত থেকে পড়ে যাওয়া বা অনেকক্ষণ হাতে থাকায় এর বাইরের লেয়ার ক্ষয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতেই পারে। কিন্তু এই প্রেজেন্টারের ক্ষেত্রে এমনটি ঘটার সম্ভাবনা কম। আর অ্যালুমিনিয়াম হওয়ায় প্রোডাক্টটি হালকা পাতলা ও ধরতে আরামদায়ক।

প্লাগ এন্ড প্লে ডিভাইস

বাসাস অরেঞ্জ ডট ওয়্যারলেস প্রেজেন্টারের সবচেয়ে বড় সুবিধা সেটাপের ঝামেলা নেই। আপনার রিমোটের সঙ্গে আসা এডাপ্টার প্লাগ করলেই হলো। অনেক প্রেজেন্টার লেজার রয়েছে যেগুলোর সঙ্গে সচরাচর প্লাগ অ্যান্ড প্লে মানিয়ে নেয়া কঠিন। কারণ আপনি শুধু কানেক্ট করলেই হবে না। প্রেজেন্টারের সঙ্গে থাকা অ্যাপে যাও আবার অনেক কিছু করো। এসব ঝক্কিতে কে যায়!

বাসাস ইউএসবি এডাপ্টার সঙ্গেই দিয়ে দিয়েছে। আপনি আপনার ফোন, ম্যাকবুক, উইন্ডোজ ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে প্লাগ করুন। ব্যাস, কানেক্ট করে নিন। কোনো ঝামেলা নেই। অতিরিক্ত অ্যাপের ঝক্কি নেই। আর কানেকশন নিয়েও ঝামেলার কোনো কারণ নেই।

এ কথা সত্য, প্রেজেন্টারটির এলইডি আরেকটু ব্রাইট হতে পারতো। ব্রাইট হলে আমরা দেখতে পারতাম। সহজেই শনাক্ত করা যেতো। তবে সেটা খুব বড় সমস্যা নয়। এই প্রেজেন্টার ১০০ মিটার রেঞ্জে ফাস্ট এবং নির্ভরযোগ্য পার্ফর্ম্যান্স দিতে সক্ষম। কানেকশনে কোনো ঝামেলা হয় না।

Baseus Orange Dot Wireless Presenter Red Laser, Baseus

BDT 1,150.00
Buy Now
cellsii.com

Description

Baseus Wireless Presenter (Upgrade Version)

Buy Baseus Orange Dot Wireless Presenter Red Laser online in Bangladesh from Cellsii.com. Baseus model name ACFYB-0G is a Wireless presenter USB C laser pointer with remote control infrared system. Bluetooth pointers of this device can...

হারাবে না ম্যাগনেটিক ডিজাইনের কারণে

খুব সামান্য একটি সংযোজন। অ্যান্টি লস্ট ম্যাগনেটিক ডিজাইন এখন এমন ছোট গ্যাজেটগুলোতে হরহামেশাই সংযুক্ত করা হচ্ছে। মূল ডিভাইসের সঙ্গে ছোটখাটো একটি ম্যাগনেটিক দড়ি যুক্ত করে দেয়া হয়। ফলে আপনি সহজেই ছোট গ্যাজেট অনেক কাগজ বা জিনিসপত্রের মাঝে খুঁজে পেতে পারেন।

ম্যাগনেটিক রিসিভারটি রিমোটের ভেতরে যুক্ত করা। তাই ম্যাগনেটিক রিসিভার ক্ষয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কম।

ব্লাইন্ড অপারেশন

পুরো রিমোটে বাটনগুলো বিভিন্ন পজিশনে সাজানো। ফলে আপনার জন্য বাটনগুলোর অবস্থান সহজেই মনে রাখা সম্ভব। সোজাসুজি তারা রিমোটের সামনের অংশেই সব বাটন জড়ো করে দেয়নি। এই একটি সংযোজন খুব ভালো হয়েছে।

আর যেহেতু বাটনগুলো ভালোভাবে সাজিয়ে দেয়া তাই আপনি প্রেজেন্টেশনে বারবার মুখ না ফিরিয়েও স্লাইড বদলাতে পারবেন। বিষয়টি আপনাকে কত ন্যাচারাল দেখাবে ভেবে দেখুন!

ইউএসবি আর টাইপ-সি ইন্টারফেস দুটোই রয়েছে

ডিভাইস যেমনই হোক না কেন, ব্যবহারে কোনো সমঝোতা নয়। কম্পিউটার হোক, মোবাইল হোক, অ্যাপল ডিভাইস হোক–এই প্রেজেন্টার রিমোট দিয়ে সব কানেক্ট করতে পারবেন। ফলে এই পণ্যটি কিনলে আপনাকে একটি ডিভাইস নিয়ে আটকে থাকতে হচ্ছে না। সারাদিনই ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন।

বাসাসের এই প্র্যাক্টিক্যাল দিকটির প্রশংসা করতেই হয়। শুধু প্রেজেন্টেশন কেন? এখন আপনি আপনার বন্ধুদের কোনো গ্রুপ স্টাডিতে সাহায্য করতে পারবেন। আবার ইনফর্মাল সিচুয়েশনকেও সহজেই ফর্মাল বানিয়ে নিতে পারবেন।

ইউএসবি আর টাইপ-সি দুটো ইন্টারফেস থাকাতেই বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। আপনাকে বাড়তি কনভার্টার কিনে এনে ভারি করতে হবে না ব্যবহারের পরিসর।

চার্জ দিন দ্রুত এবং ব্যবহার করুন অনেকদিন

সচরাচর প্রেজেন্টারের মতো গ্যাজেটে চার্জ দেয়ার পর অনেকদিন আর চার্জ দেয়ার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু সব প্রেজেন্টার তো সে সুবিধা দিবে না। বেজউসের এই প্রেজেন্টার শুধু 2.4 G Hz নেটওয়ার্কের ফাস্ট কানেক্টিভিটি দেয় তা কিন্তু নয়। সঙ্গে দ্রুত চার্জ করার সুবিধাও পাবেন।

প্রথমত, এই প্রেজেন্টারের টাইপ সি পোর্ট দিয়ে দ্রুত চার্জ দেয়া যায়। পুরো ব্যাটারি চার্জ দিতে সর্বোচ্চ ৪৫ মিনিট সময় লাগে। আর নরমাল ব্যাটারির বদলে তারা লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করেছে। ব্যাটারির ক্যাপাসিটি ২৫০ এমএএইচ হলেও আপনি অন্তত এক মাসের মতো চার্জ দেয়া ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ ব্যাটারি নিয়ে দুশ্চিন্তা অন্তত নেই।

সহজেই বহনযোগ্য

সাইজ থেকে শুরু করে ডিজাইন, এই রিমোট বহন করা কোনো সমস্যাই নয়। অতিরিক্ত অ্যাডাপ্টার বা সংকট নিয়ে ভাবতে হবে না। আর এই বিষয়টি আপনাকে প্রফেশনাল কাজের জন্যও বাড়তি সুবিধা দেয়।

প্রেজেন্টার রিমোট নিয়ে অতিরিক্ত আর কি বলার আছে? এই সময়ে প্রেজেন্টেশন আমাদের জীবনের পার্ট। আর প্রেজেন্টেশন নিঁখুত ও আরো আবেদনময়ী করার ক্ষেত্রে এই পণ্য কতটা সাহায্য করতে পারে আশা করি তা এতক্ষণে আন্দাজ করতে পেরেছেন।

What do you think?

Written by আমিরুল আবেদিন আকাশ

পেশাগত জীবনে আমি একজন সাংবাদিক। শিক্ষাজীবন এখনও শেষ করিনি। এরইমধ্যে একটি পত্রিকায় চাকরি এবং বই অনুবাদ করছি। ইংরেজি কন্টেন্ট লেখার অভিজ্ঞতা থাকায় বাংলায় তথ্যবহুল লেখা প্রচার-প্রসারের আগ্রহ থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

Sleeping at noon, way to regain energy

দুপুরে ঘুম ঘুম ভাব, এনার্জি ফিরে পাওয়ার উপায় কি?

Food for healthy kidney

কিডনি ভালো রাখবে যে ৭টি খাবার