in ,

CuteCute

অ্যামেজফিট ব্যান্ড ৭ রিভিউ

Amazfit Band 7 Review

হেলথ ও ফিটনেস ট্র্যাকিংকে অনেকটাই সহজলভ্য করে তুলেছে স্মার্টওয়াচ ও স্মার্টব্যান্ডের উত্থান। তবে স্মার্টব্যান্ডের দামগুলো নেহাৎ কম নয়। প্রাথমিক ধরণের সেন্সর ওয়ালা বেসিক ঘড়িগুলোর দামও বেশ। একসময় “ফিটবিট”-ছিল ফিটনেস ট্র্যাকিংয়ের অপর নাম। কিন্তু এখন বাজারে এসে পড়েছে নানা ব্র্যান্ডের স্মার্টওয়াচ ও স্মার্টব্যান্ড যেগুলো নানা আকর্ষণীয় ফিচার অফার করছে। এই জগতে অ্যামেজফিট এক নতুন খেলোয়াড় যারা যাত্রা শুরু করে ২০১৫ সালে। তাদের আছে বিভিন্ন ধরণের অ্যাক্সেসরিজ। এই তালিকায় এক দারুণ সংযোজন হচ্ছে অ্যামেজফিট ব্যান্ড ৭। এখানে যেমন আছে নানা ফাংশন তেমনি এর দামও তুলনামূলক সস্তা একইরকম ফিচার অফার করা অন্যান্য স্মার্টব্যান্ডগুলোর চেয়ে। ফলে গ্রাহকরা ফিটনেসের অবস্থা ট্র্যাক করার সুযোগ পাচ্ছেন, আবার মানিব্যাগও হালকা হচ্ছে না।

Amazfit Band 7 AMOLED Display Fitness & Health Tracker, Amazfit

Price: BDT 4,450.00
as of April 1, 2024  
Buy Now
cellsii.com

Price History

Amazfit Band 7

Buy Amazfit Band 7 AMOLED Display Fitness & Health Tracker at best price in Bangladesh from Cellsii.com. The Amazfit Band 7 comes with a 1.47" AMOLED display, Touch screen that provides a bigger and clearer viewing experience. It features oxygen beats with...

ডিজাইন

অ্যামেজফিটের নানা রেঞ্জের ঘড়ি আছে। এগুলোর মধ্যে ব্যান্ড সেভেন এসেনশিয়াল সিরিজের অন্তর্ভুক্ত। এন্ট্রি লেভেলের ঘড়ি এটি। এর ফিচারগুলো ব্যান্ড ফাইভের মতোই। এটার আছে বড় আয়তাকার ডিসপ্লে, ব্যাটারি আগের চেয়ে উন্নত, পাশাপাশি আছে সফটওয়্যার আপগ্রেডের সুবিধা। তবে এতে বিল্ট-ইন জিপিএস ফিচার নেই। ব্যবহার করতে গিয়ে ছোটখাটো বাগের সম্মুখীন হতে পারেন। তবুও বলতেই হয়, ব্যান্ড সেভেনে স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত নানা ডাটা পাবেন আপনি, পেয়ে যাবেন নানা ট্র্যাকিং ফিচারও। তবে দেখতে যে খুব প্রিমিয়াম, তা বলা যায় না ব্যান্ড সেভেনকে।

ডিজাইনের দিক দিয়ে ব্যান্ড সেভেন মিনিমাল ধাঁচের। সাধারণ আয়তাকার আকৃতি। কোনো বাটন নেই আশেপাশে। ডিজাইনও নেই। ব্যান্ডটা কিছুটা বড় হলেও ঘড়িটা খুব স্লিম। ঘড়ির আকার ১.৭*১*০.৫ ইঞ্চি। ফলে ছোট কব্জিতেও দেখতে ভালোই দেখায়।

ডিসপ্লে

ব্যান্ডটি বাজেট-ফ্রেন্ডলি হলেও এর ডিসপ্লের প্রশংসা করতেই হয়। এতে আছে ১.৪৭ ইঞ্চি এইচডি অ্যামোলেড ডিসপ্লে যার রেজুলুশন ১৯৮ * ৩৬৮ পিক্সেল। সাইড বেজেলও একদম মিনিমাম। ডিজাইনে যেমন স্ক্রিনের সাইজ যথেষ্ট দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি আউটলুকটাও খুব মসৃণ। সরাসরি সূর্যের আলোতে ব্রাইটনেস ঠিক করতে একটু বেগ পোহানো লাগতে পারে, তবে এই সেটিংসটা অ্যাপের মাধ্যমে চেঞ্জ করা যাবে। ডিসপ্লের ওপর প্রোটেকশন হিসেবে আছে টেম্পার্ড গ্লাস এবং এন্টি-ফিঙ্গারপ্রিন্ট কোটিং। টেম্পার্ড গ্লাসগুলো গরিলা গ্লাসের মতো নিরাপদ না হলেও সাধারণত ছোটখাটো স্ক্র্যাচ এতে পড়ে না।

ডিসপ্লের নিয়ন্ত্রণ পুরোটাই টাচস্ক্রিনের মাধ্যমে, যেহেতু ব্যান্ডটিতে কোনো বাটন নেই। টাচস্ক্রিনটা বেশ রেসপনসিভ। তবে মাঝে মাঝে অটো স্ক্রিণ জ্বলে উঠতে পারে।

সেন্সর

ব্যান্ড সেভেনে আছে বায়োট্র্যাকার ৩.০ পিপিজি বায়োমেট্রিক সেন্সর। এই সেন্সর রক্তনালীর শোষণ পরিমাপ করতে লো ইনফ্রারেড আলো ব্যবহার করে। এটা হৃদস্পন্দন এবং রক্তের অক্সিজেন লেভেল (SpO2) পর্যবেক্ষণ করতে পারে, স্ট্রেস লেভেল এবং স্লিপ প্যাটার্ন অ্যানালাইসিস করতে পারে।

SpO2 ট্র্যাকিং আপনাকে এনাবল করে নিতে হবে। ঘড়ীটিতে আছে জিওম্যাগনেটিক সেন্সর এবং থ্রি-এক্সিস অ্যাক্সেলারেশন সেন্সর। এর ভেতরে থাকা ব্লুটুথ ৫.২ দিয়ে স্মার্টফোনের সাথে কানেক্ট করতে পারবেন।

তবে এখানে সেন্সরের ঘাটতি হিসেবে জিপিএস না থাকার কথা বলতেই হয়। এর নিজস্ব জিপিএস না থাকায় স্মার্টফোনের জিপিএস দিয়ে লোকেশন ট্র্যাক করে। ফলে দূরত্ব পরিমাপের ক্ষেত্রে কিছু অসংগতি যেমন দেখা যায়, তেমনি রাস্তা ট্র্যাকিংয়েও হালকা অসুবিধা হতে পারে।

ব্যান্ড সেটআপ এবং এর ফিচার

ব্যান্ড সেভেন সেটআপের জন্য এবং কনফিগার করার জন্য জেপ (Zepp) অ্যাপটি ব্যবহার করতে হবে। প্রসেসটা খুব সহজ। স্টেপগুলো অনুসরণ করলেই হবে। তবে কিছু পারমিশন এনাবল করে দিতে হবে।

এই ঘড়িটির নানা ফিটনেস ট্র্যাকিংয়ের সক্ষমতা আছে। এটি ১২০ ধরণের অ্যাক্টিভিটি মনিটর করতে পারে। তবে এর ডাটার সূক্ষ্মতার সাথে দামী দামী ঘড়িগুলোর তুলনা করলে চলবে না। তবে চলনসই রেজাল্ট অবশ্যই পাবেন। এতে আছে পার্সোন্যাল অ্যাক্টিভিটি ইন্টেলিজেন্স (PAI) এবং ট্রেইনিং স্ট্যাটাস।

ব্যাটারি ব্যাকআপ

দাম অনুযায়ী এর ব্যাটারী ব্যাকআপ খুব ভালো। সাধারণ ব্যবহারে এর ব্যাকআপ থাকবে প্রায় ১৮ দিন, আর হেভি ইউসেজে প্রায় ১২ দিন ব্যাকআপ পাবেন। এ ছাড়া সেটিংসের ওপরও ব্যাকআপ নির্ভর করবে। যেমন, সবসময় ডিসপ্লে অন রাখলে ব্যাকআপ একটু কম পাবেন। চার্জ বেশ দ্রুতই হয়। বক্সের তথ্য অনুযায়ী, দুই ঘন্টাতেই ফুল চার্জ হয়ে যাবে।

সবকিছুর ভিত্তিতে বলা যায়, আপনি যদি স্মার্টব্যান্ড কিনতে চান, তাহলে বর্তমান মার্কেটে অ্যামেজফিট ব্যান্ড সেভেন খুব ভালো একটি পছন্দ হতে পারে। নানা ব্যান্ডের ভিড়ে খেই হারিয়ে ফেলা খুবই স্বাভাবিক। এই ঘড়িটাকে অবশ্যই ২০-২৫ হাজার রেঞ্জের ফিটনেস ট্র্যাকার বা স্মার্টওয়াচের সাথে তুলনা করা যাবে না। কিন্তু এর বিভিন্ন ফিচার, অ্যাকুরেট ট্র্যাকিং, প্রশংসনীয় ব্যাটারি ব্যাকআপসহ সব মিলিয়ে বলা যায়, অ্যামেজফিট ব্যান্ড সেভেন হতে পারে আপনার স্মার্টব্যান্ডের ক্ষেত্রে এক স্মার্ট চয়েস।

বর্তমানে ব্যান্ডটি ৪৫০০-৫০০০ টাকায় বিভিন্ন অনলাইন ও অফলাইন শপে পাওয়া যাচ্ছে।

What do you think?

Written by শাহেদ হাসান

আমি লেখালেখি করতে বরাবরই ভালোবেসেছি। বর্তমানে গ্রন্থ অনুবাদ ও মৌলিক লেখার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন ব্লগেও লেখালেখি করছি। পড়াশোনা করছি রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

ব্রণ দূর করার উপায়

দ্রুত ব্রণ দূর করতে ত্বকের যত্ন নেয়ার উপায়

PCOS Natural Treatment

৫টি খাবার যা প্রাকৃতিকভাবে নিয়ন্ত্রন করবে পিসিওএস এর উপসর্গ