in ,

LoveLove CuteCute

কম বাজেটে সেরা ইয়ারফোন কে জেড ইডিএক্স প্রো

কেজেড-ইডিএক্স-প্রো

বর্তমান সময়ে গান শোনার জন্য স্বল্প বাজেটে সেরা ইয়ারফোন গুলোর মধ্যে অন্যতম কে জেড ইডিএক্স প্রো (KZ EDX Pro)। এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলাাপের আগে জানিয়ে রাখি যে, এই পণ্যটির রিভিউয়ের ক্ষেত্রে আমাকে কোনো স্পন্সর করা হয়নি। এই হেডফোনটি আমি নিজের অর্থে খরিদ করেছি এবং এখানে যা যা মতামত আছে তা একান্তই আমার নিজস্ব অভিমত।

কে জেড (KZ) ব্র্যান্ডটি সম্প্রতি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেকে নাম না জানলেও এই ব্র্যান্ডের হেডফোনের বৈশিষ্ঠ্য ভালোমতোই জানে। এই বৈশিষ্ঠ্য হলো–আপনি চাইলে হেডফোনের ক্যাবল থেকে ইয়ারফোন পিস আলাদা করে ফেলতে পারবেন। এ বিষয়টি অভিনব তো বটেই একইসঙ্গে উপকারিও। হেডফোন যদি অকেজো হয় তাহলে সচরাচর ক্যাবলের কারণেই অকেজো হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে নতুন ইয়ারফোন না কিনে কেবলটি কিনে নেয়াই বেশি সাশ্রয়ী। বাজারে এই ব্র্যান্ডের সম্ভবত ৫-৬টি হেডফোন মডেল রয়েছে। তারমধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি মডেল হলো EDX এবং EDX Pro। এই দুটো পণ্যের দামে আহামরি হেরফের নেই।

দামের হেরফের তেমন না থাকায় অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না কোন মডেলটি নেবেন। অনেকে জেদ ধরে EDX Pro কিনে ফেলেন। আবার অনেকে দাম একটু কম দেখে EDX কেনেন। কিন্তু যদি দুটোকে পাশাপাশি রেখে তুলনা করা হয়, তাহলে EDX Pro ই ভালো। কেন? সেটা জানাতেই এই রিভিউ।
আমি গত ৩ মাস যাবত এই হেডফোনটি ব্যবহার করছি। এই দীর্ঘ সময়ে হেডফোনটি থেকে বেস্ট আউটপুট পাওয়ার জন্য অনলাইনে বিশদ ঘাটাঘাটি করেছি যা আমাকে কিছু বিষয় শিখিয়েছে–হেডফোন কিনে ব্যবহার করলেই ভালো আউটপুট পাওয়া যাবে এমনটি নয়। আপনাকেও ফোনের সঙ্গে হেডফোনের টিউনিং করে নিতে হবে। আজ EDX Pro হেডফোনটির বিস্তারিত বিষয় আলোচনার পাশাপাশি কিভাবে এই হেডফোনের মাধ্যমে সেরা আউটপুট পাবেন তা নিয়েও পরামর্শ থাকবে। তাই এত দীর্ঘ ভূমিকা পড়ে বিরক্ত হলেও ধৈর্য্য ধরে পড়তে থাকুন, আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি আপনি শেষে নিরাশ হবেন না।

KZ EDX Pro Hi-Fi Bass Dual Dynamic Earbuds with Mic

Price: BDT 750.00
as of April 1, 2024  
Buy Now
cellsii.com

Price History

KZ EDX Pro Dual Dynamic Earbuds

Buy KZ EDX Pro Hi-Fi Bass Dual Dynamic Earbuds with Mic online from Cellsii.com. KZ EDX Pro using a special dual magnetic circuit sound unit, whose size reaches 10mm. Dual magnetic circuit dynamic unit brings a more natural low-frequency response...

KZ EDX Pro -এর বিবরণ

কেজেড ব্র্যান্ডের ইয়ারফোন নিয়ে বিস্তারিত বিবরণ দেয়ার প্রয়োজন নেই। সবাই জানে এই হেডফোনের কেবল খুলে ফেলা যায়। অর্থাৎ কোনোদিন কেবল নষ্ট হয়ে গেলে শুধু কেবলটি আলাদা কিনে নিলেই হবে। এই একটি পদ্ধতি যে একটি পণ্যের জনপ্রিয়তার জন্য কতটা জরুরি তা কিন্তু সহজেই বোঝা যায়। কারণ ইয়ারফোনের কেবলই বেশি নষ্ট হয়। কিন্তু কেবল খুলে ফেলতে পারাটাই এই ইয়ারফোনের মূল বৈশিষ্ট্য না। সে বিষয়ে আলোচনার আগে ইয়ারফোনটির প্যাকেজিং এবং বিল্ড কোয়ালিটি দেখে নেয়া যাক-

প্যাকেজিং

কেজের অন্য ইয়ারফোনের মতোই EDX Pro তেও সাদামাটা প্যাকেজিং করা হয়েছে। সাদামাটা হলেও কমদামি মনে হয় না। এভাবে কোম্পানি কিছুটা খরচ বাঁচায়। কারণ প্যাকেজটা দিনশেষে গুরুত্বপূর্ণ নয়। ভেতরে আপনি রাবার ইয়ারটিপস পাবেন বিভিন্ন মাঁপের। আমার প্যাকেটে ৪ জোড়া ভিন্ন ভিন্ন সাইজের ইয়ারটিপস ছিল। মূল ইয়ারফোনের সঙ্গে আরও একজোড়া লাগানো ছিল।

দেখতে একদমই সাদামাটা প্যাকেজিং মনে হলেও হাতে নিয়ে ভালো লাগবে নিশ্চিত

বিল্ড কোয়ালিটি

EDX Pro-এর হেডফোন অংশের উপরিভাগ প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি। প্লাস্টিক ব্যবহার করে তারা খরচ অনেকাংশে কমিয়ে এনেছে। আমি মোটামুটি দুমাস ব্যবহার করছি। এ সময়ে এখনও হেডফোনের প্লাস্টিকে কোনো দাগ পড়েনি। এরসঙ্গে থাকা ফ্ল্যাট ক্যাবলটিও বেশ শক্তপোক্ত এবং হেডফোন জ্যাকটি এল-শেপের (এটা অবশ্যই সুখবর)। কেজেড বলছে ক্যাবলটি ফ্ল্যাট হওয়ায় জট লাগবে না। তবে আমার AKZ এর DM-7, DM-9 ব্যবহার করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমার মনে হয়েছে ওই ক্যাবলগুলো এই ক্যাবলের থেকে ভালো মনে হয়েছে। আর DM সিরিজের হেডফোনের ক্যাবল খুব কম জট পাঁকায়। কিন্তু এই ইয়ারফোনের ক্যাবল ডিএম সিরিজের মতো না হলেও চলনসই সাপোর্ট দিয়েছে। পকেটে রাখলে ইয়ারফোনের মাথার অংশটি জট পাঁকাতে পারে তবে তা ছাড়ানো কঠিন কিছু হবে না।

কালার অপশান

কালো, ট্রান্সপারেন্ট এবং কিয়ান (সবুজাভ)। তবে বাংলাদেশের মার্কেটে সবগুলো কালার নাও পাওয়া যেতে পারে সবসময়।

দাম

আমি যখন হেডফোনটি কিনতে যাই তখন বাজারে অনেক জায়গায় এর দাম ৯০০-১০০০ বলা হয়েছে। বিশেষত যমুনা ফিউচার পার্ক কিংবা বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্স আউটলেটে এর দাম ৮০০-১০০০ এর মধ্যেই রাখা হয়েছে। মোটামোটি এর আগের মডেল EDX এর দাম ৭০০-৮০০ চাওয়া হয়েছে। কিন্তু পরে বেশ কয়েকটি ডিলারের কাছে খোঁজ নিয়ে দেখলাম ৭৫০ টাকার মধ্যেই হেডফোনটি পাওয়া সম্ভব। অনেক সময় বড় দোকানে গেলে বলে, ৭৫০ এ যেটা ওটা কপি। এমন কথা মেনে নেওয়ার তেমন শক্ত ভীত নেই। তবে এ নিয়ে যাদের শঙ্কা আছে তারা এই লিংকটি থেকে কিনে নিতে পারেন।

ফিট

কানে ফিট করার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। যদি কানে আটাতে অসুবিধা হয় তাহলে প্যাকের ভেতরেই বাড আছে। তবে বাডগুলো বেশি পাতলা ও কমদামি রাবার দিয়ে তৈরি। ডিএম সিরিজের বাডগুলোর মতো ভালো নয়। কিন্তু সেটা নিয়ে অত দুঃখও নেই।

কেমন ইয়ারফোন KZ EDX Pro?

যারা ১০০০ এর মধ্যে ভালো হেডফোন কিনতে চাচ্ছেন এবং যাদের বাজেট বড়জোর ৮০০–১০০০ তাদের জন্য এই হেডফোনটি সবদিক বিবেচনায় ভালো। বাজারে ৫০০ টাকার মধ্যে DM সিরিজের হেডফোন আছে। তবে ঐ হেডফোন ভোকাল অনেক ক্লিন দিলেও সাউন্ড এবং ভোকালের সমন্বয়ে পিছিয়ে আছে। এসব দিক বিবেচনায় KZ EDX Pro অনেক এগিয়ে। তবে এই হেডফোন হয়তো সবার জন্য নয়। তাই এখানে হেডফোনটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো যাতে বুঝতে পারেন।

বেজ (Bass)

বেজ নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। যারা আগে EDX ব্যবহার করেছেন তারা সবাই এর বেজ নিয়ে অভিযোগ করেছেন। EDX Pro তে বেজের কিছুটা ইম্প্রুভমেন্ট দেখা গেছে। KZ বরাবরই বলে আসছে তারা এই ইয়ারফোনে ডুয়াল ম্যাগনেটিক সার্কিট ব্যবহার করেছে। আর তাদের মূল লক্ষ্য ছিল লাইভ স্টেজ টাইপ একটা সাউন্ড এই ইয়ারফোনের মাধ্যমে শোনানো। মানে আপনি সরাসরি লাইভে শুনছেন এমন একটা অনুভূতি জাগানো। সেদিক থেকে বেজলাইন স্পস্ট করার বিষয়টি এই হেডফোনে আছে। হয়তো এত আহামরি না কিন্তু যারা সাধারন ইয়ারফোন ব্যবহার করেন তারা বুঝতে পারবেন। যেমন এই হেডফোনে কনক্লুশন ব্যান্ডের অডিসি গানটি শোনার সময় বেজলাইনগুলো স্পস্টভাবেই বোঝা যাচ্ছিলো এবং অন্যান্য গান শোনার সময়েই বেজ ইন্সট্রুমেন্টটার উপস্থিতি আলাদা করা যাচ্ছিল। যদিও শোনার সময় আমরা অত মনোযোগ দিয়ে তা খুঁজি না কিন্তু রিভিউ করার জন্য আমায় তা দেখতে হয়েছে। অনেক সময় এই ছোট ছোট ইম্প্রুভমেন্টই কিন্তু পুরো অভিজ্ঞতাকে দারুণ করে।

মিডস (Mids)

সাধারণত ২৫০ হার্জ থেকে ২০০০ হার্জের মধ্যবর্তী ফ্রিকোয়েন্সিকে মিডস বলে। KZ দাবি করছে এই ইয়ারফোনের ডুয়াল ম্যাগনেটিক ডায়নামিক ড্রাইভার ১০ হার্জ থেকে ২০ কিলোহার্জ ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জের সাউন্ড কোনো ঝামেলা ছাড়াই শোনাতে পারবে। আমি অতদূরও আশা করিনি। কারণ এই দামে অত ক্লিন সাউন্ড পেলে তো আর দামি হেডফোনগুলো থাকতোই না। তবে যারা রক, মেটাল, হেভি মেটাল শোনেন তারা ক্লিন সাউন্ড পাবেন। অনেক সময় আর্টসেল, ওয়ারফেজের গানের ইন্সট্রুমেন্টের শব্দগুলোর মধ্যে কর্কষভাব চলে আসে। ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জের মধ্যে তা ক্লিন করার সক্ষমতা কমদামি হেডফোনে থাকে না। এই একটি জায়গায় EDX Pro বেশ ভালো বলা যায়। সাউন্ডের টোন ধরে রাখতে পারে।

সবকিছু মিলিয়ে EDX Pro এর আগের মডেল EDX থেকে অনেকটাই ভালো। তবে অনেকটাই ভালো বললে তো কিছু স্পস্ট হয় না। এই ভালোর মাত্রাটাও বোঝাতে হয়। EDX Pro এতটাই ভালো যে যারা দীর্ঘদিন বাজেটে DM সিরিজ ব্যবহার করছেন বা EDX ব্যবহার করেছেন তারা চাইলে নতুন মডেলে চলে আসতে পারেন। অনেক সময় কিছু কিছু পণ্যে সামান্য একটু ইম্প্রুভমেন্ট আসে। এই সামান্য ইম্প্রুভমেন্টের জন্য অনেকেই নতুন হেডফোন কেনার চিন্তা করবেনই বা কেন। কিন্তু EDX Pro যে সাউন্ড কোয়ালিটি দেয় তার জন্য বদলানো যায়। কারণ ভোকাল এবং সাউন্ড–এই দুয়ের ভালো সমন্বয় সাউন্ড ড্রাইভার করতে পারে।

তবে হ্যা, যারা গেমিং হেডফোন খুঁজছেন তাদের জন্য এটাকে আদর্শ হেডফোন আমি বলবো না। যারা নিয়মিত গান শোনেন কিংবা নিয়মিত হেডফোনে শুনে নানা কাজ করেন–তাদের জন্য বেস্ট সাউন্ড আউটপুট কম টাকা বাজেটের মধ্যে এই EDX Pro দিতে সক্ষম। তবে সিরিয়াস গেমারদের জন্য হয়তো ইয়ারফোনটি অত আহামরি নাও হতে পারে।

একটি সাজেশান

অনেকেই অভিযোগ করছেন, EDX Pro তে সাউন্ড কোয়ালিটি অত ভালো নয়। তারা ইকুইলাইজার সেটিংস থেকে এই সেটিংসটি সেট করে নিতে পারেন। আমি নিজেও অনলাইনে ঘাটাঘাটি করে ইকুলাইজারের এই সেটিংসটি পেয়েছি। আপনারাও ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

What do you think?

13 Points
Upvote Downvote

Written by আমিরুল আবেদিন আকাশ

পেশাগত জীবনে আমি একজন সাংবাদিক। শিক্ষাজীবন এখনও শেষ করিনি। এরইমধ্যে একটি পত্রিকায় চাকরি এবং বই অনুবাদ করছি। ইংরেজি কন্টেন্ট লেখার অভিজ্ঞতা থাকায় বাংলায় তথ্যবহুল লেখা প্রচার-প্রসারের আগ্রহ থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

নামাজ

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মাধ্যমে শারীরিক ব্যায়াম

ত্বকের-যত্নে-টিপস

মেয়েদের ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ৫টি টিপস