in

LoveLove CuteCute

স্মার্টওয়াচ কেনার আগে যে ৫টি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন

আপনি যদি এখনও একটি স্মার্টওয়াচের মালিক না হয়ে থাকেন এবং ভাবছেন খুব শীঘ্রই একটি স্মার্টওয়াট কিনবেন তবে বাজারে এত সব ব্র্যান্ড এবং এগুলোর ফিচার দেখে নিশ্চয় মাথা চুলকানো শুরু করবেন। তাই যে ব্র্যান্ডেরই হোক স্মার্টওয়াচ কেনার আগে আমাদের এই গাইডটি একবার পড়ুন যা আপনাকে সঠিক ওয়াচটি কিনতে সাহায্য করবে।

১. ডিসপ্লে

স্মার্টওয়াচগুলোর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে তার ডিসপ্লে। ভালো ব্র্যান্ডগুলো বিশেষ করে এ্যাপল, স্যামসাং, শাওমী, ওয়ানপ্লাস, হুয়াওয়ে, রিয়েলমি -এর মতো ব্র্যান্ডগুলো তাদের তৈরি স্মার্টওয়াচের ডিসপ্লের বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন এবং তারা এতে সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্রেতাদের মধ্যে চমক তৈরি করে এক একটি স্মার্টওয়াচ বাজারে নিয়ে আসে। কেনার আগে ক্রেতাদের কাছেও তাই ডিসপ্লে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। এ্যাপল, স্যামসাং বা শাওমী এর মতো প্রিমিয়াম স্মার্টওয়াচগুলো OLED ডিসপ্লের পাওয়া যায়।বাজারে আরো অসংখ্য স্মার্টওয়াচ আছে যেগুলো বেশিরভাগ LCD ডিসপ্লে এবং তুলনামূলক অনেক সাশ্রয়ী বাজারমূল্যের। এছাড়া অনেক মিড-রেঞ্জ স্মার্টওয়াচ গুলোতে AMOLED ডিসপ্লে পাওয়া যায় যা সাশ্রয়ী দামের এবং LCD স্ক্রিনের চেয়ে ভালো।

২. ওএস এবং অ্যাপ নির্বাচন

স্মার্টওয়াচ কেনার আগে সিন্ধান্ত নিন আপনি কোন অপারেটিং সিস্টেম বা ওএস ব্যবহার করতে অভ্যস্ত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন স্টার্টফোনটি আসলে ব্যবহার করছেন তার উপরই নির্ভর করবে স্মার্টওয়াচের ওএস কোনটি হবে। অর্থাৎ আইফোন ব্যবহারকারী হলে স্মার্টওয়াচের ওএসটিও iOS ই হবে এমনটিই স্বাভাবিক। এখন দেখে নিতে হবে যে স্মার্টওয়াচটি নিতে যাচ্ছেন সেটি iOS এর সাথে পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। যদিও বেশিরভাগ স্মার্টওয়াচই অ্যান্ড্রয়েড এবং এ্যাপল ডিভাইসগুলো সাপোর্ট করে। তবে যদি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী হোন তবে অ্যাপল ওয়াচ ছাড়া যেকোনো স্মার্টওয়াচ বেছে নিতে পারেন।

স্মার্টওয়াচ একটি ছোট ডিভাইস হতে পারে তবে এটির জন্য ডিজাইন করা হয়েছে হাজার হাজার অ্যাপ যা সত্যিকার অর্থেই জীবনকে অনেক ক্ষেত্রেই সহজ করে দিয়েছে। স্মার্টফোনের মতো স্মার্টওয়াচেও কাস্টমাইজড হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকসহ অসংখ্য অ্যাপ খুঁজে পাবেন যা আসলে দৈনন্দিন জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

Buy Smart Watch

৩. ফিটনেস ট্র্যাকিং

ফিটনেস ট্র্যাকিং কে অনেক ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে স্মার্টওয়াচ কেনার প্রবণতা বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় কারণ। ব্লাড প্রেসার, হার্ট রেট, কালোরী মনিটরিং থেকে শুরু করে অসংখ্য ফিটনেস মনিটরিংয়ের সুবিধা থাকে স্মার্টওয়াচগুলোতে। অনেক স্মার্টওয়াচে জিপিএস অনবোর্ডও অন্তর্ভুক্ত করা থাকে যা দিয়ে আউটডোর রান বা হাঁটাহাঁটি ট্র্যাক করার জন্য খুবই উপযোগী। সাঁতারুদের জন্য স্মার্টওয়াচ একটি অন্যতম পছন্দের ডিভাইস। তবে কেনা আগে অবশ্যয় স্মার্টওয়াচটি ওয়াটার প্রুফ কিনা এবং সেটার আইপি রেটিং কত তা স্পষ্ট জেনে নিতে হবে।

সুখবর হচ্ছে স্মার্টওয়াচগুলো সত্যিকার অর্থেই আরো স্মার্ট হচ্ছে এবং প্রতিনিয়তই যুক্ত হচ্ছে নিত্য নতুন ফিচার। অ্যাপল এবং ফিটবিটের মতো স্মার্টওয়াচগুলো এখন রক্তের অক্সিজেনের মাত্রা অনুমান করার পাশাপাশি ইসিজিও পরিমাপ করতে পারে। তবে সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টওয়াচগুলিতে ECG এবং অক্সিজেন ট্র্যাকিংয়ের মতো বৈশিষ্ট্যগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকবে না। তাই আপনি যদি এই জাতীয় স্বাস্থ্য ডেটা সংগ্রহ করতে চান তবে আপনাকে এ্যাপল এবং স্যামস্যাংয়ের মতো ব্র্যান্ডগুলোকে প্রিমিয়াম মূল্য দিতে হবে।

৪. ব্যাটারির স্থায়িত্ব

ব্যাটারি লাইফ আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্মার্টওয়াচের ক্ষেত্রে। একটি কম ফিচার সমৃদ্ধ স্মার্টওয়াচের ব্যাটারি ৫ থেকে থেকে ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। বর্তমানে বাজারে আসা কিছু স্মার্টওয়াচ ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে যার ফলে ব্যবহারকরীরা অতি অল্প সময়ে দ্রুত ঘড়ি চার্জ করতে পারে। যেমন অ্যাপল প্রতিশ্রুতি দেয় যে নতুন অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৭ ঘড়িটি মাত্র ৪৫ মিনিটে ০ থেকে ৮০% পর্যন্ত চার্জ দেয়া যেতে পারে যা সিরিজ ৬ ঘড়ির তুলনায় ৩৩% দ্রুত। নতুন ওয়ানপ্লাস ঘড়িটি আরও দ্রুততর এবং মাত্র ১০ মিনিটের চার্জে ০ থেকে ৪৩% পর্যন্ত যেতে পারে।

৫. বাজেট

মানুষের স্বাভাবিক চাওয়া হচ্ছে একদিকে সবচেয়ে ফিচার সমৃদ্ধ, উন্নত ডিসপ্লে আবার একই সাথে দীর্ঘ সময় চার্জ থাকবে এমন একটি স্মার্ট ঘড়ি। এর সাথে আরো একটি স্বাভাবিক চাওয়া হলো ঘড়ির দামটা হতে হবে সাশ্রয়ী! এক্ষেত্রে কেনার আগে অবশ্যয় সচেতন হতে হবে। বাজারে একই রকম দেখতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টওয়াচ পাওয়া যায়। এমন কি এ্যাপল ওয়াচের মত দেখতে হুবুহ স্মার্টওয়াচ আছে যা মাস্টার কপি বা কপি ঘড়ি নামে বিক্রি হয়ে থাকে। এগুলোর দাম একদমই হাতের নাগালে। দাম অনুযায়ী পারফরম্যান্সেও সন্তুষ্ট থাকার কথা। কিন্তু তাই বলে একই দামে এ্যাপল ওয়াচের মত হুবুহ পারফরম্যান্স আশা করা যায় না। এগুলোর ব্যাটারি লাইফ কম এবং অন্যান্য পারফরম্যান্সও দুর্বল।

বাজারে প্রথম সারির কয়েকটি ব্র্যান্ড ছাড়াও আরো অনেক ব্র্যান্ডের এবং নন ব্র্যান্ডের স্মার্টওয়াচ পাওয়া যায় যেগুলো খুব সাশ্রয়ী মূল্যের এবং এন্ট্রি-লেভেল ওয়াচ হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং পারফরম্যান্সও সন্তোষজনক। একটু সচেতন হয়ে কিনতে পারলেই ঠকে যাবার কোন সম্ভাবনা নেই।

What do you think?

Written by Robi Raiyan

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

ভেষজ চিকিৎসা: তুলসি পাতা

ডায়েটিং করছেন? স্লিম হতে গিয়ে স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল আছে তো?