ডায়েটিং করছেন? স্লিম হতে গিয়ে স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল আছে তো?

উল্টোপাল্টা নিয়মে ডায়েটিং করা মানেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া নয়। নিয়মিত ডায়েটিং করে ওজন কমাতে পারেন। কিন্তু ডায়েটিংয়ের নামে কম খেয়ে ওজন কমালেন, স্লিম হলেন কিন্তু ত্বক আর চুলের দিকে নজর আছে তো? যে উপায়ে ডায়েটিং করছেন তার ফলে কি আসলেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারছেন? নাকি কম খেয়ে শুকানো মুখটায় লাবণ্যের কমতি দেখা দিয়েছে। কিংবা মাথায় হাত দিলেই মুঠো ভর্তি চুল উঠে আসছে না তো?
খুব কম সময়ে মেদ কমাতে গিয়ে অনেকেই দিনের পর দিন আধা পেট খেয়ে থাকেন। আবার কখনও কখনও না খেয়েই সারাদিন পার করে দেন। অনেক দিন ধরে এ উপায়ে ডায়েটিং করে শরীরের ওজন কিছুটা কমবে বটে। কিন্তু অন্যান্য অঙ্গ পতঙ্গের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির চাপ বেড়ে যাবে। সেই ক্ষতির ধরন কি হতে পারে তা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে রাখুন। খাওয়া দাওয়া প্রায় ছেড়ে দিয়ে ওজন কমিয়ে কাঙ্খিত সৌন্দর্য আমরা পেতে চাই। কিন্তু দেখা যায় তার উল্টোটা ঘটছে। অনেক ধরনের পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তবে শরীরের যে দুটি অংশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা হলো চুল এবং ত্বক। এই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে অথবা ক্ষতির মাত্রা কিছুটা পুশিয়ে নিতে নিম্নের টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
১. যেকোন ডায়েটিং শুরুর করার পর প্রচুর পানি আর তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে বেশি বেশি করে
২. অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন, সি, এ, ই, এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে বেশি করে। অর্থ্যাৎ সবুজ, হলুদ, কমলা ও সাদা রঙের শাকসবজি ও ফল খেতে হবে প্রতিদিন
৩. ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ফল ত্বকের কোষ মেরামত করে ত্বককে সতেজ করে তোলে; আর এটা খাদ্য তালিকায় না রাখলে ত্বক ধীরে ধীরে মলিন হয়ে যায়। এ ধরনের কয়েকটি ফল হলো আপেল, কমলা, কলা, জাম, খেজুর, আঙুর, পেপে ইত্যাদি
৪. আঁশযুক্ত শাক সবজি রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়। ত্বককে সুস্থ ও সতেজ রাখবে এ সবজি গুলো
৫. ডায়েট করার সময় নিয়ম করে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা সময় ঘুম খুব জরুরী। এ সময় ঘুমের ব্যাঘাতে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে বা কালি পড়তে শুরু করে
৬. আর রাত জেগে দিনে ঘুমালে ওজন কমানো কঠিন হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে শরীর তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারাবে
৭. ওজন কমাতে চাইলে খেতে হবে সুষম খাদ্য আর কত ক্যালোরী খাওয়া হলো তার হিসেব রাখতে হবে
৮. তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকা থেকে মাছ, মাংস, ডাল, ডিম, দুধ, দই, ঘোল ও ছানা, একদম ঝেড়ে না ফেলে খেতে হবে হিসেব করে
কী ধরনের ক্ষতি হয়
খাদ্যতালিকায় আমিষের অভাবে চুল ঔজ্জ্বল্য হারায়, চুলের আঁগা ফাটতে শুরু করে এবং চুল পরা বেড়ে যায়। খাদ্যতালিকায় ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার না থাকলে চুল রুক্ষ ও প্রাণহীন হয়ে যায়। অন্যদিকে ভিটামিন সি, ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু খাদ্য তালিকায় এগুলো না থাকলে ঠিক উল্টোটা ঘটে। অর্থ্যাৎ হিতে বিপরীত হয় আরকি!
তাই পাশের বাড়ির উনি ডায়েটিং করছেন এটা দেখে আপনিও শুরু করে দিলেন। এমনটা যেন না হয়। ডায়েটিং কোন ফ্যাশন নয়। শুরুর আগে অবশ্যয় ভালোভাবে এ সম্পর্কে জেনে নিন। ব্যালেন্স ডায়েট বা সুষম ডায়েটিংয়ের অভ্যেস করুন। সুস্থ্য থাকুন।
GIPHY App Key not set. Please check settings