in

LoveLove CuteCute

লোডশেডিংয়ে স্বস্তি দিবে এমন ৫টি গ্যাজেট

লোডশেডিং বর্তমানে যেন এক আতংকের নাম। শীত আসন্ন হলেও ঘাম ঝরা গরমের প্রভাব যেন কম মনে হয়না যখন লোডশিডিং শুরু হয়। সারাদেশে দিনে ৩ থেকে ৫ ঘন্টা এমনকি জেলা শহর সহ গ্রামাঞ্চলে এর থেকেও বেশি সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। আচ্ছা বলুন তো হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে নিজের অজান্তেই মাথায় কোন জিনিসটির প্রয়োজন অনুভব করি? ঠিকই ধরেছেন। নিজের অজান্তেই আমরা আসলে বিকল্প বিদ্যুতের উৎস খুঁজি। রাত হলে প্রথমেই মোবাইল ফোনটি দিয়ে আলো জ্বালানোর চেষ্টা করি, ঘরে রিচার্জিবল ফ্যান থাকলে তা অন করি, পাওয়ার ব্যাংক থাকলে তা দিয়ে জরুরী কাজগুলো অনায়াসে সেরে ফেলছি। এসবই সম্ভব হয় আসলে বিকল্প এনার্জি সোর্স আমাদের হাতের কাছে থাকে জন্য।

দেশের এক শ্রেনীর মানুষ জেনারেটর অথবা আইপিএস এর মাধ্যমে লোডশেডিং সমস্যা থেকে কিছুটা স্বস্তিতে থাকে হয়ত। যদিও তেলের দাম বৃদ্ধি ও সার্বিক বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্টতই বলা যায় যে, এধরনের সেবা সামনের দিনগুলোতে অনেক বেশি বিঘ্নিত হবে। আর মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষের জন্য তো এই সুবিধা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তবে সমস্যা যেখানে, সমাধানও নিশ্চয় আছে। উচ্চবিত্ত অথবা নিম্নবিত্ত, যার যার প্রয়োজন ও সামর্থ অনুযায়ী বিকল্প এনার্জি সোর্স হাতের নাগালে রাখা এখন বেশি জরুরী। আমরা আজকে এমন কিছু গ্যাজেট নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলো লোডশেডিং এর যন্ত্রনা কাতর সময়গুলোতে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে। চলুন দেখি গ্যাজেটগুলো কি কি-

১। পাওয়ার ব্যাংক

জরুরী মূহুর্তে যদি মোবাইলে চার্জ না থাকে তাহলে কতটা বিরক্ত লাগে তা সহজেই অনুমান করা যায়। তবে প্রয়োজনের সময়ে মোবাইলে চার্জ না থাকলে কখনো কখনো বড় বিপদেও পড়তে হয়। মোবাইল চার্জ করা থেকে শুরু করে টুকটাক বিকল্প পাওয়ার সাপ্লায়ের জন্য ব্যবহার করুন পোর্টেবল পাওয়ার ব্যাংক চার্জার। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং মডেলের পাওয়ার ব্যাংক পাওয়া যায়। আপনার মোবাইলের ক্ষমতার উপর নির্ভর করে পাওয়ার ব্যাংক নির্বাচন করুন। বাজারে শাওমি, বাসাস, অ্যাংকর ইত্যাদি নানা ব্র্যান্ডের খুব ভালো মানের পোর্টেবল পাওয়ার ব্যাংক রয়েছে যেখান থেকে নিজের বাজেট ও পছন্দমত একটি কিনে নিতে পারেন।

লেটেস্ট মডেলের পাওয়ার ব্যাংক কিনতে এই লিংক ভিসিট করুন →

২। রিচার্জেবল ফ্যান (ডেস্ক ফ্যান)

লোডশেডিং এর দুর্দিনে দুর্বিশহ গরম থেকে কিছুটা আরাম দিতে পারে রিচার্জেবল ফ্যান। এই ফ্যানগুলোকে পূর্ন চার্জ দিয়ে রাখলে একটানা ৩ ঘন্টা ফুল স্পিডে চলতে পারে। আর লো স্পিডে প্রায় ৬ ঘন্টা পর্যন্ত চলতে পারে। বাংলাদেশের বাজারে এখন অনেক ব্র্যান্ড এবং মডেল রয়েছে এই ফ্যানের। ব্র্যান্ড এবং তাদের ফিচারের উপর নির্ভর করে দামের হেরফের হয়ে থাকে। মোটামোটি ২ হাজার ৫ শত থেকে শুরু করে ৭ হাজার বা তার বেশীও হতে পারে। দেশী ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ওয়ালটন, ভিশন ইত্যাদি ভালো ব্র্যান্ড। আর বিদেশী ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে শাওমি, বাসাস, জিশুলাইফ বেশ ভালো।

জিসুলাইফ এফএ২৭ মডেলের ৮০০০ এমএএইচ রিচার্জেবল ফ্যান। বিস্তারিত…

লেটেস্ট সব রিচার্জেবল ফ্যান দেখতে লিংকটি ভিসিট করুন →

৩। ফোল্ডেবল হ্যান্ডহেল্ড ফ্যান

ছোট্ট রঙ্গিন এই ফোল্ডেবল হ্যান্ডহেল্ড ফ্যানগুলো দেখতে যেমন চমৎকার ঠিক সার্ভিসও দেয় খুব ভালো। ফাস্ট চার্জিং ফ্যানগুলো ৩০/৪০ মিনিটের ভেতরেই চার্জ সম্পূর্ন হয় এবং দীর্ঘ সময় সার্ভিস দেয়। এই ফ্যানগুলো দেখতে সুন্দর, আকারে ছোট এবং ওজন কম হওয়ার কারনে যে কোন ছোট সাইড ব্যাগে বহন করা যায়। স্কুল, কলেজ অথবা অফিসে যাতায়াতের সময় রাস্তার জ্যামে এই ফ্যানগুলো খুবই আরামদায়ক। ৪০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যেই বেশ চমৎকার ফোল্ডেবল হ্যান্ডহেল্ড ফ্যান পেয়ে যাবেন।

৪। ব্যাটারী চালিত টর্চলাইট

আমার মতে লোডশেডিং এর দিনগুলোতে ব্যাটারী চালিত টর্চলাইট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন গেজেটগুলোর একটি। ঘরে বা বাইরে যে কোন যায়গায় এই টর্চলাইটগুলো খুবই কাজের। তীব্র আলো, এক্সট্রা লঙ কভারেজ সহ এই ছোট্ট টর্চলাইটগুলো অনেকবেশী ফিচারসমৃদ্ধ। অনেক টর্চই পাওয়ার ব্যাংক সুবিধা থাকে। সেই সাথে এগুলো আকারে ছোট ও হালকা পাতলা গড়নের জন্য খুব সহজেই বহন করা যায়। একবার ব্যাটারি লাগালে অথবা চার্জ করে নিলে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করা যায়। দামেও বেশ সস্তা। হাজার দুয়েক টাকার মধ্যেই বেশ ভালো ব্র্যান্ডের ব্যাটারী চালিত টর্চলাইট পেয়ে যাবেন।

শাওমি ব্র্যান্ডের ২০০০এলএম রিচার্জেবল ফ্লাশলাইট টি এক কথায় দুর্দান্ত। বিস্তারিত…

৫। রিচার্জিবল লাইট

রিচার্জিবল লাইট লোডশেডিং এর দুর্দিনে আরো এক কাছের বন্ধু। এটি বাল্ব এবং টেবিল ল্যাম্প দুই ধরনেরই পাওয়া যায়। বাল্বগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে জ্বালানো থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ সংগ্রহ করে রাখে। এরপর বিদ্যুৎ না থাকলে একটা ২ ঘন্টা বা তার চেয়েও বেশী সময় ধরে জ্বলতে থাকে।

রিচার্জেবল ফ্লাশ লাইট এবং ইউটিলিটি লাইটিং →

এছাড়াও রিচার্জেবল টেবিল ল্যাম্পও এই সময় খুবই সহায়ক। একটি ভালোমানের  ব্র্যান্ডের রিচার্জেবল টেবিল ল্যাম্প একটানা ৪০ ঘন্টা হালকা আলো, ৮ ঘন্টা মিডয়াম আলো, এবং ৪ ঘন্টা গাঢ় আলো দিতে পারে। ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই রিচার্জেবল লাইটগুলো খুবই উপকারী। অনাকাঙ্ক্ষিত লোডশেডিং থেকে আমরা চাইলেই মুক্তি পেতে পারবো না, কিন্তু উপরে আলোচিত গ্যাজেটগুলো আমরা দুর্বিসহ অন্ধকার জীবনকে কিছুটা হলেও আলোকিত ও আরামদায়ক করতে পারবে। তাই আপনার প্রয়োজনীয় গ্যাজেটটি সংগ্রহ করুন এবং কষ্টদায়ক লোডশেডিংকে কিছুটা হলেও স্বস্তিদায়ক করে তুলুন।

What do you think?

Written by সানজিদা আলম

একজন ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটার। টেকনোলজি, স্বাস্থ্য, প্রোডাক্ট রিভিউ এবং ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করতে ভালো লাগে। লেখালেখির পাশাপাশি ভালোবাসি পড়তে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

5-seeds-that-must-be-included-in-a-healthy-diet

৫ টি বীজ জাতীয় খাবার যা হেলদি ডায়েটে রাখা আবশ্যক

ওজন কমাতে যত ভুল

ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন? এই ভুলগুলো করছেন না তো?