in

ভেষজ চিকিৎসা: তুলসি পাতা

বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার যুগেও মানুষ রোগ নিরাময়ের জন্য ভেষজ পদ্ধতি বা বিভিন্ন গাছ-গাছালীর উপর নির্ভরশীল। এর অন্যতম কারণ ভেষজ পদ্ধতিতে চিকিৎসার প্বার্শপ্রতিক্রিয়া অনেক কম বা নেই বললেই চলে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে এসব গাছ-গাছালীই চিকিৎসার জন্য অন্যতম অবলম্বন। ঔষধি গুণ সমৃদ্ধ বেশ কিছু গাছ সম্পর্কে ধারাবাহিক আলোচনার প্রথম কিস্তিতে রয়েছে তুলতি পাতা। তুলসি শব্দের অর্থ যার তুলনা নাই। বাংলা ভাষায় তুলসি নিয়ে আরেকটি কথা খুব প্রচলিত। ধোয়া তুলসি পাতা। মানে একবারে নির্ভেজাল। ধোয়া তুলসি পাতা প্রসঙ্গে যাব না। আলোচনা করব তুলসি পাতার কিছু গুণাগুণ নিয়ে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় তুলসি এন্টি ভাইরাস বলে প্রমানিত। প্রবাদ আছে, যে বাড়িতে তুলসি গাছ থাকে সে বাড়িতে কোন ভাইরাস ইনফেকশন জনিত রোগব্যাধি থাকেনা বা হয় না। কারন তুলসি গাছের হাওয়া ভাইরাসের জীবানু মুক্ত করে এবং দূর করে ব্যাকটেরিয়াও। গুনাগুন ১. তুলসি পাতা জলে ভিজিয়ে রাখলে জল দূষনমুক্ত হয়, পরিশুদ্ধ থাকে। ২. যে সব শিশুর সর্দি কাশির প্রবনতা আছে তাদের সকালে ৫/১০  ফোঁটা তুলসি পাতার রস মধু সহ খাওয়ালে ভালো উপকার পাওয়া যাবে। ৩. তুলসি পাতার রসে প্রচুর ক্লোরোফিল থাকায় নিয়মিত সেবনে কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে। ৪. তুলসির বীজ ভিজিয়ে রেখে প্রত্যহ সকালে খেলে প্রস্রাবের জ্বালা-পোড়া দুর হয়। ৫. সর্দিসহ যে কোন জ্বরে আদার রসের সাথে তুলসির রস খেলে উপশম হয়। ৭. শ্লেষ্মার জন্য নাক বন্ধ- তুলশির নস্য করে টানলে উপকার হয়। ৮. পোকামাকড়, বোলতা, বিছাপোকা কামড়ালে তুলশির রস ক্ষত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। ব্যথা দুর হবে এবং আরাম বোধ লাগবে। ৯. হামের দাগ ও সদ্য বসন্তের দাগ তুলতে তুলশির রস লাগালে বেশ উপকার পাওয়া যায়। ১০. নিজেকে অকালেই বুড়ো মনে হচ্ছে? পানের সাথে রোজ সকালে তুলসির শিকড় চিবিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন। দেহ মনে সজিবতা ফিরে আসবে।

Written by শাওন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

মাশরুম হতে পারে নারীদের কর্মসংস্থানের উপায়

Buy Smart Watch

স্মার্টওয়াচ কেনার আগে যে ৫টি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন