in

LoveLove CuteCute OMGOMG CryCry

দুধের সরে ত্বকের যত্ন কতটা যুক্তিযুক্ত?

দুধের সরে ত্বকের যত্ন

আমাদের মধ্যে অনেকেই ত্বকের যত্ন নেয়ার জন্য দুধের সর ব্যবহার করেন। তবে এটা ঠিক কতটা যুক্তিযুক্ত? দুধের সর দিয়ে ত্বকের যত্ন নিলে কী ত্বকে কোনো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে? নাকি আসলেই ত্বকে দুধের সর ব্যবহার করা ভালো? চলুন, তা জেনে নেয়া যাক এই লেখার মাধ্যমে।

দুধের সর কী?

দুধ জ্বাল দেয়ার পরে তা যখন পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে যায়, তার উপর একটা আবরণ লক্ষ্য করা যায়। প্রায় ৩০ মিনিট পর কিংবা এটা পুরোপুরি ঠান্ডা হলে আবরণটা বেশি পুরু হয়। এটাই দুধের সর হিসেবে পরিচিত। প্রোটিন আর ফ্যাট এর উৎকৃষ্ট একটি উৎস এটি। দুধের সর মুখরোচক বিভিন্ন ধরনের খাবার এবং মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।

দুধের সর ব্যবহার করার কারণ কী?

দুধের সর দিয়ে রূপচর্চা করেন না, এমন নারী এখন খুব কমই আছেন। তবে এ পর্যন্ত যত গবেষণা করা হয়েছে, তাতে এ নিয়ে কোনো সমস্যার কথা কোনো ক্লিনিক্যাল রিসার্চ থেকে জানা যায়নি। বরং, দুধের সর ব্যবহার করার ফলে ত্বকের বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন হয়, এমনটাই জানা যায়।

দুধের সর ব্যবহার করলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। এর মধ্যে আছে-

  • ত্বক মসৃন হওয়া
  • ত্বকের মৃত কোষ (Died Cells) দূর হওয়া
  • ত্বক ক্রমান্বয়ে উজ্জ্বল হয়
  • ত্বক ময়েশ্চারাইজড হয়
  • ত্বকের ইলাসটিসিটি (Elasticity) বৃদ্ধি পায়
  • এটির ব্যবহার ত্বকের জেল্লা ধরে রাখে।

এছাড়াও স্ত্রিন টন বদলে যাওয়াসহ আরো বেশ কিছু গুণাগুণ আছে দুধের সরের। এজন্য দুধের সর প্রয়োগের ফলে ত্বককে সুস্থ রাখা সম্ভব।

দুধের সর দিয়ে রূপচর্চা করেন না, এমন নারী এখন খুব কমই আছেন। তবে এ পর্যন্ত যত গবেষণা করা হয়েছে, তাতে এ নিয়ে কোনো সমস্যার কথা কোনো ক্লিনিক্যাল রিসার্চ থেকে জানা যায়নি। বরং, দুধের সর ব্যবহার করার ফলে ত্বকের বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন হয়, এমনটাই জানা যায়।

দুধের সরের গুণগত মান কেমন?

দুধের সরে বিদ্যমান প্রোটিন ও ফ্যাট ছাড়াও আছে ল্যাকটিক এ্যাসিড ও আলফা হাইড্রক্সি এ্যাসিড।  এই উপাদান গুলো ত্বকের বেশ কিছু সমস্যা থেকে মুক্তি প্রদান করে।

ল্যাকটিক এসিড (Lactic Acid)

ল্যাকটিক এসিডের কারণেই মূলত দুধের সর সব থেকে বেশি উপকারী। কারণ, ত্বকের তেলতেলে ভাব ধীরে ধীরে দূর করতে এর জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর করার জন্য ল্যাকটিক এসিড বেশ ভলো কাজে দেয়। তাই নিয়মিত ত্বকে দুধের সর প্রয়োগ করার ফলে ত্বকের কিছু সমস্যা একটু একটু করে চিরতরে দূর করা যায়।

আলফা হাইড্রক্সি এসিড (Alfa Hydroxy Acid)

সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট রে (Ultra Violet Ray) থেকে ত্বককে সামাল দেয়া খুবই কঠিন। কড়া তাপে ত্বক পুড়ে যাওয়া নিত্যকার দিনের সমস্যা। এজন্য ত্বককে পোড়া দাগ থেকো রক্ষা করতে চাইলে দুধের সর ব্যবহার করা সর্বোত্তম।

দুধের সর ত্বকে ব্যবহার করে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেললে ত্বকের পোড়া দাগ অনেকাংশে কমে যায়। তাছাড়া, ত্বক নষ্ট হওয়া থেকেও মুক্তি দেয় এটি। ত্বককে স্মুথ করার জন্যও আলফা হাইড্রক্সি এসিড উপকারি।

কীভাবে ব্যবহার করবেন দুধের সর?

দুধের সর আপনি চাইলে বেশ কয়েক ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। এটা আপনি এমনিতেও কোনো অন্য উপাদানের সাথে না মিশিয়েও সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা যায়। আবার চাইলে, কিছু প্রাকৃতিক উপাদান মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।

১. দুধের সরে কোনো কিছু না মিশিয়ে সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করুন। এরপর এটা ত্বকে কিছুক্ষণের জন্য (আনুমানিক ১০ থেকে ১৫ মিনিট) রেখে দিন। অতঃপর ঠান্ডা পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন। প্রতি ৭ দিনে অন্তত ২ বার ত্বকে এই প্যাকের ব্যবহার ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

২. মধুর সাথে দুধের সর মিশিয়ে ব্যবহার করলে দারুণ একটা ফল পাওয়া যায়। ১ চা চামচ মধুর সাথে ৩ চা চামচ দুধের সর দিয়ে মোটামুটি ঘনত্বের একটা মিশ্রন তৈরি করুন। এরপর তা ত্বকে প্রয়োগ করে ২০ মিনিটের মতো রাখুন। এরপর পাতলা তোয়ালে দিয়ে ত্বক মুছে নিন। এটা নিয়মিত ত্বকে প্রয়োগ করলে ত্বক মসৃন হয়।

৩. অ্যালোভেরা দিয়েও দুধের সরের সাথে দারুণ কম্বিনেশনের প্যাক তৈরি করা যায়। অ্যালোভেরা জেল নিয়ে তাতে সমপরিমাণ দুধের সর দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে। এরপর তা সামান্য ঘন মিশ্রনে পরিনত হলে, ত্বকে প্রয়োগ করে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। শেষে ত্বক ধুয়ে নিলেই পাওয়া যাবে দারুণ ফলাফল। ত্বকের জেল্লা ধরে রাখার জন্য এই প্যাকটি ত্বকে প্রতি ১৫ দিনে অন্তত ১ বার ব্যবহার করুন।

দুধের সর যারা ব্যবহার করতে পারবেন না

দুধের সর ভালো একটি উপাদান হলেও নির্দিষ্ট কিছু মানুষের জন্য এটি কুফল বয়ে আনতে পারে। এর মধ্যে আছে অ্যালার্জির সমস্যায় নিয়মিত ভোগা ব্যক্তিরা। সুতরাং, যারা নিয়মিত অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন তাদের উচিত হবে, দুধের সর ব্যবহার না করা। কারণ এতে করে তাদের ত্বকে পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যা পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় রূপ নেয়। এছাড়াও যাদের অন্যান্য রোগের কারণে দুধ খাওয়া নিষেধ, তাদেরও  দুধের সর ব্যবহার করলে ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শেষ কথা, আশা করি আমার আজকের এই লেখাটি পড়ে আপনাদের ভালো লেগেছে। এই লেখায় আমরা দুধের সর ব্যবহার করা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। আপনারা যদি লেখাটি পড়ে উপকৃত হন, তাহলে অবশ্যই আমাদের ব্লগ সাইটটি ফলো করে রাখবেন।

What do you think?

10 Points
Upvote Downvote

Written by বিবি মরিয়ম লাবণ্য

আসসালামু আলাইকুম। আমি বর্তমানে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ভোলা সরকারি কলেজে পড়াশোনা করছি। এর পাশাপাশি অনলাইনে একজন কনটেন্ট রাইটার ও ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

How-to-make-lip-balm-at-home-to-protect-lips

ঠোঁটের সুরক্ষায় ঘরেই লিপবাম তৈরির উপায়

Dry-Skin-Home-Made-Solution

শুষ্ক ত্বককে প্রানবন্ত করুন ঘরোয়া উপায়ে