in

শীতে গাড়ির বাড়তি সতর্কতা

car-care-in-winter-in-Bangladesh

আবহাওয়া আপনার গাড়ির ওপর ভালো প্রভাব ফেলে। বৃষ্টি, গরম কিংবা শীত, সবসময় আপনার গাড়ির অবস্থা ভালো রাখতে হবে। কিন্তু গাড়ি নিয়ে বর্ষায় যে বিপত্তি বাঁধে তা বোধহয় আর কখনই হয় না। এই যেমন আপনি অফিস শেষে বের হয়ে টের পেলেন ভীষণ ঠান্ডা পড়েছে। চট করে গাড়িতে বসে স্টার্ট দেওয়ার পর গাড়ি চালু হচ্ছে না। তারমানে ইঞ্জিন ঠান্ডা হয়ে আছে। শুধু এ সমস্যাই প্রধান না। এর বাইরেও কিছু সমস্যা আছে যেগুলোর জন্য বাড়তি যত্ন আপনার গাড়ি দাবি করে। সে বিষয়গুলোই এখানে আলোচনা করা হলো।

গাড়ির বাতি থেকে শুরু

শীতের সময় সুর্য্যের আলো যত ম্রিয়মাণ হতে শুরু করে ততই আলোকসল্পতা গাড়ির চালককে বিরক্ত করে। কোনোদিন কুঁয়াশা ভারি হলে সন্ধ্যার পর অনেক রাস্তায় গাড়ি চালানো কঠিন হয়ে যায়। সেজন্য গাড়ির লাইট কোনো অবস্থাতেই খারাপ রাখা যাবে না। যদি গাড়ির কোনো লাইট খারাপ হয়ে যায় তাহলে দ্রুত সাড়িয়ে নিন।

ধুকে ধুকে চলা ব্যাটারি শীতে চলবে না

গরম কিংবা বর্ষায় কোনোমতে চালিয়ে নিতে পারলেও ধুঁকতে থাকা ব্যাটারি দিয়ে শীত পার করতে পারবেন না। অবশ্য বিষয়টি চলার পথের ওপর নির্ভর করে। যারা শহরের ভেতর গাড়ি চালান তারা বিষয়টি বোঝেন না অনেক সময়। তবে শহরের বাইরে গেলে অনেক সময় বিপদে পড়তে হয়। শীতে ইঞ্জিন সচল করার জন্য ব্যাটারিকে বাড়তি সক্ষমতা রাখতে হয়। সেটা না থাকলে অনেক সময় মাঝপথে বাধতে পারে বিপত্তি।

ইঞ্জিন অয়েলে কার্পণ্য নয়

অনেকে গাড়িতে নির্ধারিত সময়ে ইঞ্জিন অয়েল বা লুব্রিকেন্ট বদলান না। খরচ বাঁচাতেই এমনটি করা হয়। কিন্তু শীতে আপনার ইঞ্জিন অয়েল পরিশুদ্ধ না থাকলে অনেক সময় ইঞ্জিন স্টার্টে সমস্যা দেখায়। তাই খরচ হলেও ঠিক সময়ে ইঞ্জিন অয়েল রাখুন। শীতের জন্য বেশি ঘন নয় এমন ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করুন কিন্তু সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করুন। এভাবে কোনো সমস্যা হবে না। ভালো ধারণা পেতে হলে আপনার গাড়ির মডেলের জন্য উপযুক্ত ইঞ্জিন অয়েলটি খুঁজে নিন অনলাইনে। সেখানে কতটুকু ব্যবহার করবেন, কবে বদলাবেন এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা পাবেন।

উইন্ডশিল্ডের ফাটল ও ওয়াইপার

শীতে গাড়ির ওয়াইপারটি কাজে আসে। প্রয়োজনে পরীক্ষা করিয়ে নিন। কারণ ঘন কুয়াশার দিনে ওয়াইপার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া উইন্ডশিল্ডে কোনো ফাঁটল থাকলে দ্রুত সারানোর ব্যবস্থা করতে হবে। গাড়ির ভেতর কুঁয়াশা প্রবেশ করলে ভেতরে জমাট বাঁধে। সেক্ষেত্রে অনেক সময় আমাদের চোখ ঝাপসা হয়ে যেতে পারে। তাই গাড়ির ভেতর অন্তত কোনো ফাটল দিয়ে যেন কুঁয়াশা ঢুকতে না পারে তাই ফাটল খুঁজে বের করুন এবং সাড়িয়ে নিন।

চালানোর আগে ইঞ্জিন গরম করে নিন

আগে যেমন বলেছি, গাড়িতে বসে গাড়ি স্টার্ট দিন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। ইঞ্জিনটিকে গরম হতে দিন। অনেক সময় ইঞ্জিন আবার বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এভাবে মিনিট দশেক ইঞ্জিনকে গরম হওয়ার সুযোগ দিন। তাড়াহুড়োয় রাস্তায় নেমে পড়বেন না। চলতি পথেই গাড়ি বন্ধ হয়ে গেলে কি হবে তা তো রাস্তার হাল অনুমান করলেই বুঝতে পারবেন।

ব্রেকের পরীক্ষা

শীত কিংবা বর্ষায় ব্রেকের কার্যকারিতার উপর অনেককিছু নির্ভর করে। তাই আপনার গাড়ির ব্রেক ঠিকঠাক আছে কি-না তা দেখে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

ডিফ্রস্টারের কথা বিবেচনা করতে পারেন

ডিফ্রস্টার একটি গ্যাজেট। এটি গাড়ির জানালায় কুয়াশা কিংবা জলকণা জমতে দেয় না। এমনকি গাড়ির ভেতর উষ্ণ রাখতেও সাহায্য করে। এই গ্যাজেটটি কিনে নিতে পারলে শীত ও বর্ষা এই দুই সময়েই আপনার গাড়ির ভেতর স্যাতস্যাতে ভাব জমা হতে দিবেনা। গরমেও এর কিছু ব্যবহার রয়েছে। তাই এই গ্যাজেটে খরচ করাটা অন্তত ভুল হবে না।

What do you think?

Written by আমিরুল আবেদিন আকাশ

পেশাগত জীবনে আমি একজন সাংবাদিক। শিক্ষাজীবন এখনও শেষ করিনি। এরইমধ্যে একটি পত্রিকায় চাকরি এবং বই অনুবাদ করছি। ইংরেজি কন্টেন্ট লেখার অভিজ্ঞতা থাকায় বাংলায় তথ্যবহুল লেখা প্রচার-প্রসারের আগ্রহ থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

honey and aloevera

ত্বকের যত্নে মধু ও অ্যালোভেরা

শপিং টিপস শপিং সেবা

শপিং করতে গেলে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখা দরকার