in

কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা

‌বিশ্বের কৃষিনির্ভর তথা কৃষি উৎপাদন নির্ভর দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এদেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ কৃষি কাজের সাথে সম্পর্কযুক্ত। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই দেশ কৃষি নির্ভরশীল। দেশের কৃষি খাতের অবস্থা প্রাথমিক দিকে খুব অগ্রগণ্য ছিল না। প্রাথমিক দিকে কৃষির উৎপাদন ছিল মূলত কৃষক নির্ভর, ছিল না উন্নত বীজ, কৃষি সরঞ্জাম সহ অন্যান্য সুবিধা। সরকারী বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলস্বরূপ আজকের Agriculture_of_Bangladeshঅবস্থানটা কিছুটা উন্নত। তবে এখনও যে কৃষির অবস্থান স্বয়ংসম্পূর্ণ তা নয়। যেখানে ভারত, চীন, অস্ট্রেলিয়া ব্যবহার করছে উন্নত সব আধুনিক প্রযুক্তি, রয়েছে উন্নত কৃষি গবেষণাগার ও গবেষক, সেই তুলনায় আমাদের কৃষকের মাঝে এখনও সেই পুরনো কৃষি সরঞ্জাম, চাষপদ্ধতি। তারপরও স্বাধীনতার পরবর্তী ৭ কোটি মানুষ থেকে আজকের প্রায় ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য পূরণ করছে এই কৃষিই। সাম্প্রতিক সময়ে কৃষি উৎপাদন, কৃষি গবেষণা ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। জরিপে দেখা যায় ১৯৮০-৮১ অর্থ-বছরে জাতীয় বাজেটের ১.০৭ ভাগ ছিল কৃষিখাতে। তারপর পর্যায়ক্রমে ২০০৭-০৮ এ শতকরা ৬.২ ভাগ, ২০০৯-১০ এ ৭.৯ ভাগ এবং ২০১০-১১ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটের ৮.৬ ভাগ ছিল কৃষিখাতে। যার অর্থ একের পর এক কৃষি খাতে বাজেট বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১০-১১০ ও ২০১১-১২ বাজেটে কৃষি ক্ষেত্রে নতুন দার উন্মোচন করেছে। সংগঠিত হয়েছে কৃষি ক্ষেত্রে বিপুল গবেষণা। কৃষিবিদদের নিরলস প্রচেষ্টায় নতুন নতুন উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত আবিষ্কৃত হচ্ছে। কৃষি সম্পর্কিত উপাদানের আমদানি, বাজারজাতকরণ, কৃষকদের মাঝে বিতরণের এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে পাশাপাশি কৃষকদের প্রশিক্ষণ, বীজ প্রদান, উৎপাদন খরচ, কৃষি ভর্তুকি প্রদান কৃষি সম্ভাবনার একটি অংশ। সরকারের নানা কর্মসূচি কৃষি সম্ভাবনার একটি রুপ রেখা। সরকারের একটি বিষয় বোধগম্য কৃষি তথা কৃষক না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না। দেশের মোট জমি ৩৬৬৫৭০০ একর যার মধ্যে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ২ কোটি ১ লক্ষ ৯৪ হাজার একর এবং কৃষি খাতের অবদান ২০.৮৩% । তাই স্বল্প জমি সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে কৃষকদের সর্বাধিক সহযোগিতা করতে হবে। কৃষকদের মাঝে সার, বিদ্যুৎ , সেচ, ভর্তুকি সুবিধা প্রদান করতে হবে। কৃষকদের করতে হবে প্রশিক্ষিত, কৃষি গবেষকদের সর্বাধিক সুযোগ প্রদান করতে হবে, ফলে কৃষির সাথে সম্পর্কিত সকল বিভাগ লাভবান হবে। ফলশ্রুতিতে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, নতুন নতুন কর্মক্ষেত্রের সৃষ্টি হবে, মাথাপিছু আয় বাড়বে, দারিদ্রতা কমবে আর দেশ হবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, উন্নত, সমৃদ্ধ যা বিশ্বের দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াবার পূর্বশর্ত।

লেখক: ‍মো: রফিকুল ইসলাম

What do you think?

Written by কবির

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

ভূমিকম্প! আতঙ্ক নয় দরকার সচেতনতা