ফলে এসব রাসায়নিক দ্রবাদি ব্যবহার করেও মৃত মাছ সংরক্ষণ ও পরিবহণ করা যেতে পারে। কিন্ত এসব দ্রব্যাদির অনেক গুলোই মানুষের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত। যেমন- ফরমালিন। ফরমালিনের মাধ্যমে অল্প খরচে দীর্ঘ সময়ের জন্য মাছ সংরক্ষণ করা যায় বলে এর ব্যবহার অধিকমাত্রায় পরিলক্ষিত হয়। বিশেষত যেসব মৃত মাছ বিদেশ থেকে আসে তার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফরমালিনের উপস্থিতির খবর প্রায়ই পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হতে দেখা যায়। কিন্তু ফরমালিন যুক্ত মাছ মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হয়ে থাকে।
- বৃক্ক, যকৃত, ফুলকা ও পাকস্থলী সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
- মাছে ফরমালিনের মাত্রা বেশী থাকলে সে ক্ষেত্রে খাওয়ার পর মানুষের শরীর অবশ হয়ে যেতে পারে।
- মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হয়।
- দৈহিক স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
| ক্রম | টাটকা ও ফরমালিন বিহীন মাছ | ফরমালিন দেয়া মাছ |
| ১। | ফুলকা উজ্জ্বল লাল বর্ণের হয় | ফুলকা ধূসর ও ফরমালিনের গন্ধ পাওয়া যায় |
| ২। | আঁইশ উজ্জ্বল হয় | আঁইশ তুলনামূলক ধূসর বর্ণের হয় |
| ৩। | শরীরে আঁশটে গন্ধ পাওয়া যায় | শরীরে আঁশটে গন্ধ কম পাওয়া যায় |
| ৪। | মাছের দেহ স্বাভাবিক নরম হয় | দেহ তুলনামূলক শক্ত হয় |
| ৫। | চোখ উজ্জ্বল হয় | চোখ ঘোলাটে হয় |
GIPHY App Key not set. Please check settings