in

CuteCute

ফ্রুট কাস্টার্ড রেসিপি

ফলের কাস্টার্ড

ফ্রুট বা ফলের কাস্টার্ড, অনেক সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর একটি খাবারের নাম। আমরা রেস্টুরেন্টে এটি প্রায়ই খাই, কিন্তু বাসায় বানানোর চেষ্টা করেছেন কি কখনো? কিছু নিয়ম মেনে ঘরেই তৈরি করতে পারেন স্বাস্থ্যকর ও মজাদার এই ডেজার্ট। আজকে আমরা জানবো কিভাবে ঘরে অল্প সময়েই একদম রেস্টুরেন্টের মত পারফেক্ট কাস্টার্ড বানানো যায়।

উপকরণসমূহ

  • কাস্টার্ড পাউডার – ৩ টেবিল চামচ পরিমান
  • লিকুইড গরুর দুধ – আধা কাপ। (আগে  থেকে জাল করে সাধারণ তাপমাত্রায় আনতে হবে)
  • পানি – ২ টেবিল চামচ
  • গরুর কাচা দুধ  – ১লিটার
  • চিনি – আধা কাপ
  • কলা – ১ কাপ
  • লাল আপেল – আধা কাপ
  • সবুজ আপেল – আধা কাপ
  • বেদানা – আধা কাপ
  • লাল আঙুর – আধা কাপ
  • সবুজ আঙুর – আধা কাপ

এছাড়াও আপনি আপনার ইচ্ছে মতো ফল নিতে পারেন। তবে টকজাতীয় ফল বা যে ফলগুলো থেকে পানি বের হয় সেগুলো না দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

রন্ধনপ্রনালী 

ধাপ ১

প্রথমে একটি পাত্রে কাস্টার্ড পাউডার ও আগে থেকে জাল করে নেয়া দুধ মিশিয়ে নিন। ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।

ধাপ ২

চুলায় একটি প্যান বসিয়ে তাতে ২ টেবিল চামচ পানি দিন। তারপর সেই ১ লিটার দুধ দিয়ে দিন। দুধটা জাল দিয়ে ঘন করে নিন। সাধারনত ১ লিটার দুধ ৪ কাপ হয়, জাল দিয়ে দুধটাকে ৩ কাপ করে নিতে হবে। কাস্টার্ড এর ক্রিমি ভাবটা আনার জন্যই দুধটাকে ঘন করে নিতে হবে।

পরিমাণমত দুধ কাস্টার্ড পাউডারের সাথে মিস্রন করে নিন

ধাপ ৩

দুধটা ঘন হয়ে এলে সেই কাস্টার্ড পাউডার এর মিস্রনটি এর মাঝে দিয়ে দিন। অল্প অল্প করে দিয়ে নাড়তে থাকবেন এবং এ সময় চুলার আচ একদম কমিয়ে রাখতে হবে। সবটুকু মিশিয়ে একটু ঘন করে নামিয়ে নিন।

ধাপ ৪

ঘন হওয়া দুধটাকে নামিয়ে কিছুক্ষণ অনবরত নাড়তে থাকুন। এর ফলে যে অতিরিক্ত তাপ ছিল তা ঠান্ডা হয়ে যাবে। ফলে দুধটা দলা পেকে দই এর মতন হবে না। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ঠান্ডা করে নিন। তবে ঢাকনা ছাড়া ঠান্ডা করবেন না। তাহলে উপরে সর পরতে পারে।

ধাপ ৫

ঠান্ডা হওয়ার পর দুধটা আগের থেকে আরও ঘন হয়ে অনেকটা কেকের ব্যাটার এর মত হবে। এরপর একটা বাটিতে নামিয়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন। পরিবেশের আগে বের করে ফলগুলো দিয়ে দিন।

তৈরি হয়ে গেল মজাদার কাস্টার্ড। এটি তৈরি একদম সহজ।

আপনার ইচ্ছে মতো ফল নিতে পারেন। তবে টকজাতীয় ফল না দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

এবার বলছি কিছু সতর্কতা বা টিপস যেগুলো কাস্টার্ডকে সুস্বাদু করবে এবং ভালোভাবে বানাতে সাহায্য করবে।

  • এখানে কোনো টকজাতীয় ফল ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
  • ফলগুলো যথাসম্ভব কাটার পর পরই দুধের মিস্রনে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। মানে যখন আপনি ঘন দুধটা ফ্রিজে ঠান্ডা রাখবেন। চেষ্টা করবেন সেই সময়েই ফলগুলো কাটার, তাহলে ফল কাটতে কাটতে দুধ অনেকটাই ঠান্ডা হয়ে যাবে। ফলে ফল কাটার পর সেগুলো বেশিক্ষন বাইরে রাখা যাবে না। এতে ফলের পুষ্টিগুণ বজায় থাকবে।
  •  কাস্টার্ড পাউডার ঘরে বানিয়ে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
  • ফলগুলো যথাসম্ভব কাটার আগে ধুয়ে নেবেন। কাটার পর পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন না।
  • ফলগুলো কাটার আগে চাইলে বেশ কিছুক্ষন পানিতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন।
  • সম্পূর্ন কাস্টার্ড ঠান্ডা করে পরিবেশন করার চেষ্টা করবেন। কেননা কাস্টার্ড, ফালুদা ইত্যাদি খাবার ঠান্ডা করে খেতেই বেশি ভালো লাগে।
  • রান্না করার সময় দুধে যখন আগে থেকে  মিশিয়ে রাখা দুধ ও কাস্টার্ড পাউডারের মিস্রনটি দেবেন তখন চুলার আচ অনেকটা কমিয়ে রাখতে হবে, নয়তো পাউডারের মিস্রনটি দেওয়ার পর ঘন দুধটা দলা পেকে দই হয়ে যেতে পারে।
  • যখন দুধ ঘন করবেন প্রথমে পাত্রে অল্প পানি দেওয়ার চেষ্টা করবেন, তাহলে দুধটা তলায় লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
  • যে দুধ আপনি কাস্টার্ড পাউডারের সাথে মেশাবেন সেই দুধটাকে আগে থেকে গরম করে, সাধারণ তাপমাত্রায় এনে তারপর কাস্টার্ড পাউডারের সাথে মেশাবেন।

ফ্রুট কাস্টার্ড বানানো খুবই সহজ। বাচ্চাদের অনেক পছন্দের একটি খাবার। তাহলে আর দেরি কিসের।সন্ধ্যায় কিংবা ভারী খাবারের পর ডেজার্ট হিসেবে ফ্রুট কাস্টার্ড রাখতেই পারেন।

What do you think?

Written by আফরিন জান্নাত মৌ

আমি একজন ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটার। বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই কন্টেন্ট লিখতে সাচ্ছন্দ বোধ করি। ফুড, রেসিপি, বিউটি টিপস নিয়ে লিখতে ভালোবাসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

পুরুষের শালীন পোশাক

পুরুষের শালীন পোশাক- ইসলাম কী বলে?

ভেষজ চা

ভেষজ চা: যেগুলো পান করা দরকার