সারাবিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও বাইসাইকেল ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে। বিশেষ করে তরুন প্রজন্মের মধ্যে সাইক্লিং শব্দটি এখন অনেক জনপ্রিয়। এটি একদিকে যেমন পরিবেশ বান্ধব তেমনি সাশ্রয়ী পরিবহন ব্যবস্থা। এখন যদি সাইকেলটা আবার হয় বাঁশের তৈরি? অনেকের কাছে অবাক করার মত বিষয় হতে পারে কিন্তু এটাই সত্যি। বাঁশ দিয়ে বাইসাইকেল তৈরি করা হচ্ছে বহু আগে থেকে। এটি একদিকে যেমন ফুয়েল ব্যবহারের ঝুকি কমিয়ে পরিবেশকে রক্ষা করছে আবার বাঁশের তৈরি হওয়ায় ষ্টীলের খরচও রক্ষা হচ্ছে। বাঁশ দিয়ে যেমন সাধারণ ব্যবহারের জন্য বাইসাইকেল তৈরি করা যায় তেমনি রেসিং বাইসাইকেল এমনকি মাউনটেইন বাইসাইকেলও তৈরি করা যায়।
বাঁশ দিয়ে তৈরি বাইসাইকেলের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:
১৮৯৬ সালের ২৬ এপ্রিল প্রথম বাঁশের তৈরি বাসাইকেল (Bamboo bicycle) প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। নিউইয়র্কের একটি কোম্পানী ‘ব্যামবো বাইক প্রজেক্ট’ নামে সপ্তাহব্যাপি একটি কর্মশালার আয়োজন করেছিল যেখানে অংশগ্রহণকারীরা বাঁশ দিয়ে বাইসাইকেলের ফ্রেম তৈরি করত এবং পরে তা প্রদর্শন করা হত।
বামবো বাইক প্রজেক্ট মূলত একটি অলাভজনক প্রকল্প। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভিড হো এবং জন মুটার নামে দুজন বিজ্ঞানীর উদ্যোগে এটি চালু হয়েছিল। শুরুতে এই প্রকল্পে তহবিল দিয়েছিল দ্যা আর্থ ইন্সস্টিটিউট এবং কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
ব্যামবো বাইসাইকেল প্রকল্পটির উদ্দেশ্য:
১. আফ্রিাকার গ্রাম এলাকার দরিদ্র মানুষদের জন্য মানসম্পন্য বাইসাইকেল তৈরি করা
২. স্থানীয় প্রয়োজন মিটানোর জন্য আফ্রিকান বাইসাইকেল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করা
৩. প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা
৪. সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত নিশ্চিত করার জন্য সাপ্লাই চেইনের ব্যবস্থা করা
৫. সর্বশেষ এটি মনিটর করা
এর বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা সমূহ:
বাঁশের তৈরি বাইসাইকেলের মূল বৈশিষ্ট হলো এটি পরিবেশ বান্ধব, এর সহনশীল ক্ষমতা অনেক বেশি এবং অনেক সাশ্রয়ী। স্বচ্ছন্দে এবং আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করার জন্য এটি একটি আদশ্য সহযোগী হতে পারে।
- পরিবেশ বান্ধব উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ফ্রেম
- বাঁশ দিয়ে তৈরি করা ফ্রেম ত্যাপ সহনশীল
- এসব ফ্রেমের ওজন মাত্র ১ কেজি থেকে ২ কেজি
- কম ঘনত্বের এবং অধিক ক্ষমতাসম্পন্য (টাইটানিয়াম অন্তর্হিত)
- ১০ বছর পর্যন্ত ওয়ারেন্টি দেয়া সম্ভব
- জ্যামিতিক কাস্টম ফ্রেম
- টায়র ক্লিয়ারেন্স, ব্রেকের ধরন এবং আনুষঙ্গিক ইন্টিগ্রেশন সম্ভব
- সবচেয়ে ক্র্যাশ সহনশীল ফ্রেম
- অনেক কার্বন ফ্রেমের খেকেও অধিক শক্ত
- কার্বন ফুটপ্রিন্ট নেই বললেই চলে
- সুবিধামত ডিজাইন করা যায়
- সতন্ত্র বৈশিষ্টের
আফ্রিকার দুটি দেশ তানজানিয়া এবং উগাণ্ডা এছাড়া শ্রীলঙ্কায় কয়েকশ পরিবারে পরিক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করে খুবই সন্তোসজনক ফলাফল পাওয়া গেছে। গবেষণায় দেখা গেছে গরীব মানুষদের প্রায় ৩৫ শতাংশ আয় বৃদ্ধি করতে পারে এধরণের বাইসাইকেল।
অঞ্জন দত্তের গাওয়া আমার খুব প্রিয় একটা গানের লাইন ছিল ‘সাইকেল টা আমি ছেড়ে দিতে রাজি আছি পারবনা ছাড়তে এ ঠ্যাং’। মনে হয় না এমন সাইকেরের মোহে পড়লে আর তা ছাড়তে পারবেন। নিচের ছবিগুলো দেখুন:
কিনতে মুনচায়!!
Khub e sunder! Bangladesh theke ki order deya jabe??
বাঁশ দিয়েছেন রবি সাহেব! সাইকেল কিনব কিনব ভাবতেছিলাম। এখন আর দেরি নয়। মানিবাগে বাঁশটা এখনই দিলেন তো!!