in

নগরায়ন এবং বনায়ন

প্রসঙ্গ নগরায়ন এবং বনায়ন। এ দুটির প্রবণতা বাংলাদেশে বিপরীতমুখি। স্রোতের গতিতে নগরায়ন বাড়ছে অন্যদিকে বন জঙ্গল কেটে শিল্প কলকারখানা স্থাপন করা হচ্ছে কোন রকম পরিকল্পনা ছাড়ায়। এক সময় মসজিদের শহর নামে পরিচিত ঢাকা শহর আজকে কনক্রিটের চাদরে মুড়ানো একটি যান্ত্রিক, অপরিকল্পিত এবং বিশ্বের অন্যতম জনবহুল একটি শহর। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে ৪০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই ঢাকা শহর এখন বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহরের মধ্যে একটি। সম্প্রতি একটি গবেষণায় সারা বিশ্বে বসবাসের জন্য অযোগ্য নগরীর মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে ঢাকা। কি চমৎকার!

নগরায়ন

সাধারণত নগরায়ন বলতে বুঝায় কোন এলাকার পরিধি বৃ্দ্ধি পেয়ে গ্রাম থেকে নগরে রূপান্তরিত হওয়া। অন্যভাবে নগরায়নকে একটি আধুনিক, শিল্প নগরী এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নেরর পরিপূরক হিসেবেও ধরা হয়। ইংরেজীতে এটি রুরাল মাইগ্রেশান নামে পরিচিত। অর্থ্যাৎ জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া এবং নাগরিক বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার জন্য মানুষের গ্রাম থেকে শহরে আসার প্রবণাতাই নগরায়ন।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে ১৯৭০ সালে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫ ভাগ মানুষ নগর এলাকায় বসবাস করত। কিন্তু ২০১০ সালে তা এসে দাঁড়ায় প্রায় ৩০ শতাংশে। তার মানে গত চলিশ বছরে নগরায়নের হার বেড়েছে শতকরা প্রায় ২৫ শতাংশ। এই হারে বাড়তে থাকলে ২০২০ সালে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ নগরে বাস করবে। এই মাত্রা আরো বাড়তে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে আগামী তিন বা চার দশকেই সারাদেশ সিটি স্টেট বা নগররাষ্ট্রে পরিণত হবে। ইউনেসকো প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের নগরকেন্দ্র: প্রবণতা, ধরন ও বৈশিষ্ট্য’ শীর্ষক প্রতিবেদন হতে জানা যায়, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে শহর এলাকার সংখ্যা ছিল ১০৮ টি। ১৯৯১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫২২টি। বর্তমানে এ সংখ্যা বেড়ে হয়েছে বহুগুণ। অবশ্য এসব পরিসংখ্যানে অনুমানভিত্তিক তথ্য পাওয়া যায়। এ কারণে বিভিন্ন সংস্থায় রিপোর্টে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দেখা যেতে পারে। কিন্তু এটি তো সত্য যে নগরায়নের হার খুব দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শধু ঢাকা নগরীর কথায় আসা যাক। ১৯৭০ সালে ঢাকা শহরের জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৩.৩৬ লক্ষ, যা বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ১.৫ কোটিতে। ভাল চাকরির সুযোগ, উন্নত শিক্ষা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং অন্যান্য আধুনিক নাগরীক সুবিধার কারণে সমগ্র দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন ঢাকার দিকে ছুটে আসছে হাজারো মানুষ। কিন্তু রাস্তাঘাট, স্থাপনা, পয়নিঃস্কাশন, শিল্প-কলকারখানা ইত্যাদি পরিকল্পিত উপায়ে না হওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে নানা ধরণের সমস্যা। জলাবদ্ধতা, যানজট, পানি দূষণ, বায়ু দূষণ ইত্যাদি। আর অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণের ফলে সম্প্রতি সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করা রানা প্লাজার ঘটনা তো সবার জানা। একটা ঘটনা সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিতে চুনকালি লাগিয়ে দিয়েছে। বিদেশে অনেক বড় বড় ফ্যাশন হাউজের সামনে বড় করে সাইনবোর্ড দেয়ার মত ঘটনাও ঘটেছে “এখানে বাংলাদেশের কোন প্রডাক্ট নেই”। আহা কি লজ্জা!

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংস্থা ইআইইউ বিশ্বের ১৪৪ টি শহরকে কেন্দ্র করে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, বসবাসযোগ্যতার বিবেচনায় সবচেয়ে খারাপ শহরগুলোর তালিকায় ঢাকা দুর্ভাগ্যক্রমে! দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আজকের ঢাকা শহর যে বসবাসের অযোগ্য স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু কেন ৪০০ বছরের পুরনো প্রকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই শহর আজ অন্যতম বৃহত্তম একটি বস্তি নগরীতে রূপান্তরিত হয়েছে। জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা শহরে প্রতিদিন নতুন করে ২ হাজার ১৩৬ জন মানুষ ঢুকে পড়ছে। এতে বছর শেষে ঢাকা শহরের প্রায় দেড় কোটি মানুষের জনসমুদ্রে যুক্ত হচ্ছে ৭ লাখ ৮০ হাজার নতুন মানুষ। গবেষকদের মতে, ঢাকা শহরে প্রতি বর্গকিলোমিটার জায়গায় ২৭ হাজার ৭০০ মানুষ বাস করছে। মানুষ বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ শহরে বাড়ছে বাড়ি এবং গাড়ি। বাড়ছে পরিবেশ দূষণ। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন সমস্যা। জনসংখ্যা গবেষকদের মতে, ঢাকা শহরে বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ এবং এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০১৫ সালে ঢাকা শহরের লোকসংখ্যা দাঁড়াবে ১ কোটি ৭৯ লাখের কাছাকাছি।

অন্যদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থার (বিআরটিএ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৮ সাল পর্যন্ত রাজধানীতে নিবন্ধনকৃত যানবাহনের সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৫৮ হাজার। যদিও বেসরকারি সংস্থার মতে, রাজধানীতে চলাচলকারী যানবাহনের সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি। বিআরটিএ এর অন্য এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রতিদিন শতাধিক গাড়ি নিবন্ধন নিয়েই রাস্তায় নামছে। যার ফলে বছর শেষে প্রায় ৩৬ হাজার ৫০০টি নতুন গাড়ি যুক্ত হচ্ছে এ শহরের গাড়িবহরে। গবেষণা সংস্থা নিপোর্ট কর্তৃক নগর গবেষণার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বের উন্নত ও সমৃদ্ধ নগরীর জন্য ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ রাস্তা থাকলেও ঢাকায় আছে মাত্র ৬ থেকে ৮ শতাংশ রাস্তা। এর ফলে যানজটের ভোগান্তি থেকে নগরবাসীকে কোনোভাবেই রেহাই দেয়া সম্ভব না। কয়েকটি ফ্লাইওভার ব্রিজ ও নতুন রাস্তা অবশ্য তৈরি করা হয়েছে যা দ্বারা হয়ত কিছুটা সুবিধা পাবে ঢাকাবাসি। কিন্তু এসবই পর্যাপ্ত নয়। ঢাকাকে আসলে ঢেলে সাজাতে হবে। শহরকে ঘিরে যে নদী রয়েছে সেগুলো ব্যাবহার করেও জানযট নিরশন সম্ভব। আর ট্রেনের ব্যবহার নিশ্চিত করতে না পারলে শুধু ওভার ব্রিজ, ডবল ডেকার বা আর্টিকুলেটেড বাস সার্ভিস দিয়ে জানযট দুর করা সম্ভব না।

তাছাড়া যে হারে ঢাকা শহরে মানুষ বাড়ছে তার সাথে সঙ্গতি রেখে আবাসন চাহিদা তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং যানজট সমস্যা শহরবাসীর নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ মুহূর্তে ঢাকা শহরের প্রায় দেড় কোটি মানুষের জন্য দৈনিক ২১০ কোটি লিটার পানি প্রয়োজন হলেও ওয়াসা সরবরাহ করতে পারছে মাত্র ১৯০ কোটি লিটার পানি। প্রতিদিন ঢাকা নগরীতে ১২০০ থেকে ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৬০০ থেকে ৮০০ মেগাওয়াট। রাজধানীতে দৈনিক ২৩০ ঘনফুট গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ১৯৫ ঘনফুট। নগরবিদদের মতে, ৩৬০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ঢাকা নগরীতে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৬০ লাখ মানুষ বাসের উপযোগী হলেও বসবাস করছে কমপক্ষে দেড় কোটি মানুষ। সুতরাং নগর কর্তৃপক্ষ কিংবা সরকারের পক্ষে কাঙ্খিত নাগরিক সেবা প্রদান সম্ভব হবে না সেটাই স্বাভাবিক। পানি সরবরাহকারী সংস্থা ওয়াসা ইচ্ছা করলেই মানুষের দৈনন্দিন পানির চাহিদা মেটাতে পারে না। কারণ পানির জন্য প্রকৃতির উপরই বেশি নির্ভর করতে হয়। সাধারণত যে বছর দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হয়, সে বছর ভূর্গভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যায়। এ অবস্থায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা শুধু কঠিন হয়েই ওঠে না, কোনো কোনো সময় অসম্ভব হয়েও পড়ে। আবার কোনো বিশেষ এলাকায় অতিমাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা হলে, সেখানে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নিচে নেমে যায়।

ঢাকা শহরে যে হারে লোকসংখ্যা বাড়ছে তাতে আগামী ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ঢাকা একটি পরিত্যক্ত নগরীতে পরিণত যে হবে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের কোন সন্দেহ নেই। বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা যায়, ঢাকা শহরের বর্তমান লোকসংখ্যা ধারণক্ষমতার চেয়ে অন্তত ১ কোটি বেশি। সুতরাং এই মুহূর্তে যদি ঢাকামুখী জনস্রোত বন্ধ করাও যায় তাতেও ঢাকা নগরীকে সমস্যামুক্ত করা যাবে না। শুধু ঢাকা শহরকে জোড়াতালি দিয়ে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করার চেয়ে ঢাকার বাইরে দেশের অন্যান্য শহরগুলোকে পরিকল্পিত নগরায়ন এবং প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ করা হলে ঢাকা শহরে মানুষের চাপ অনেকাংশেই হ্রাস করা সম্ভব।

বনায়ন

প্রাকৃতিক উপায়ে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা ও তাপমাত্রা কমানোর প্রধান উপায় হলো বনায়ন। আগে কখনও এ বিষয় নিয়ে কেউ মাথা ঘামিয়েছে বলে মনে হয়না। কারণ সবুজ শ্যামলের দেশ বাংলাদেশ। ভয়পুর অক্সিজেন! কিন্তু সারাবিশ্বের বৈশ্বিক পরিবর্তনের পাশাপাশি এবং আমাদের অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়নের ফলে বাংলাদেশের পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। আমাদের সবার প্রিয় বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ এলাকা সুন্দরবনও আজ গুমকির মুখে। এখনই সময় সবার এগিয়ে আসার। প্রতিবাদ করার। সমাধানের উপায় খুজে বের করা। তা না হলে আইলা, সিডর, মহাসেন, রানা প্লাজার মত ঘটনা আরো বাড়তেই থাকবে।

এই পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য বনায়নের কোন বিকল্প নেই। জঙ্গল কেটে কলকারখানা স্থাপন করে প্রবৃদ্ধি অর্জন করবেন? মহাসেন এসে সব ধ্বংস করে দিয়ে যাবে। তখন আর কোন দিসা খুজে পাওয়া যাবে না। বনায়নের মাধ্যমে সৃষ্ট গাছপালা মানুষের জীবনরক্ষাকারী প্রধান উপাদান অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে পরিবেশকে বিপর্যয়ের হাত হতে রক্ষা করে। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে  আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ১ হেক্টর বন দৈনিক ৯০০-৯৫০ কেজি কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং ৬০০-৬৫০ কেজি অক্সিজেন সরবরাহ করে বাতাসে কার্বন -ডাই-অক্সাইডের পনিমাণ সাম্যাবস্থায় রাখে। মাত্র কয়েক হেক্টর বনরাজি স্থানীয়ভাবে ৩-৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা হ্রাস করতে পারে। বনায়নের ফলে কি ধরনের উপকার আমরা পেতে পারি এবং নগরায়নের ফলে সৃষ্ট সমস্যা কিভাবে সমাধান হতে পারে তা জেনে নিন।

কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিয়ন্ত্রণ: নগর এলাকায় জনসংখ্যা এবং শিল্প কারখানা বৃ্দ্ধির ফলে প্রতিদিন বাতাসে সঞ্চিত হচ্ছে ক্ষতিকর গ্যাস ও বিষাক্ত পদার্থ। বনায়নের মাধ্যমে সৃষ্ট বৃক্ষরাজি বাতাসের এই ক্ষতিকর কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস ও বিষাক্ত পদার্থ শোষণ করে পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে।

অক্সিজেন সরবরাহ: টিভিতে অনেক পুরনো জনপ্রিয় একটি বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনের কথা কার মনে আছে? গাছ এবং অক্সিজেনকে নিয়ে। “এই গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়; এই গাছ আমাদের জীবন বাঁচায়। গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান”। এই টাইপের কিছু কথা ছিল ঐ বিজ্ঞাপনে। আসলে বনায়নের মাধ্যমে সৃষ্ট গাছপালা সালোক সংশ্লেষণের মাধ্যমে কার্বন-ডাই-অক্সাইড কে অক্সিজেনে রুপান্তরিত করে এবং পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করে।

জলবায়ুর তীব্রতা নিয়ন্ত্রণ: শহর এলাকায় কলকারখানা বেশি থাকে এবং প্রচুর রাসায়নিক পদার্থের বাতাসের সাথে মিশ্রণ ঘটে। এরফলে আবহাওয়া গরম হয়ে যায়। প্রচন্ড গরম অথবা শুষ্ক আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণে বনায়নের কোন বিকল্প নেই। একটি বড় গাছ দিনে প্রায় ১০০ গ্যালনের মত পানি প্রস্বেদনের মাধ্যমে চারদিকের বাতাসে ছড়িয়ে দেয়। এর ফলে সে গাছের চারপাশে তাপের মাত্রা অনেক কমে যায় এবং পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত হতে রক্ষা পায়।

ভূমিক্ষয় রোধ: ভূমি ক্ষয় রোধে বনায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের তথ্যের বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, প্রতি বর্গমাইলে ফসলী জমি থেকে মাটির ক্ষয় হয় ২২০০ পাউন্ড, ঘাসে ঢাকা জমি থেকে ১৭০০ পাউন্ড আর বনভূমি থেকে ক্ষয় হয় মাত্র ৩৬০ পাউন্ড।

ঝড়-বন্যা থেকে পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণ: বায়ুর নিম্নচাপ জনিত কারণে অন্য স্থানের বাতাস যখন প্রচন্ড বেগে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে যায় তখনই ঝড়ের সৃষ্টি হয়। ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে একটি ঘন বৃক্ষ ৩০ মাইল বেগের বাতাসকে ৭৫ ভাগ কমাতে সাহায্য করে এবং তার চারপাশে ২০ ভাগ গতি কমাতে পারে তার উচ্চতার ২০ গুণ দুরুত্ব পর্যন্ত। অন্যদিকে বৃষ্টিপাত এবং বন্যা থেকে রক্ষা পাবার জন্য বনায়ন নদ-নদীর উৎসগুলোর পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ায় , ভূমিক্ষয় রোধ করে, এবং বন্যার প্রকোপ হতে রক্ষা করে।

গ্রীন হাউস: পরিবেশ বিপর্যয়ের অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে গ্রীন হাউস প্রভাব যা বনায়ন গ্রাস পাবার কারণে সৃষ্টি হয়। বনায়নের মাধ্যমে পরিবেশকে গ্রীন হাউসের প্রভাব মুক্ত রাখা যায়।

What do you think?

Written by Robi Raiyan

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

5 Comments

Online shopping site in Bangladesh

A story of a customer-centric online marketplace in Bangladesh

মুসলিম দেশগুলোতে মেয়েদের পোশাক