একটি বাসার ছাদের সিড়ি ঘরে শত-শত বাহারি কবুতরের হাট বসতে পারে নিজে চোখে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না। ছোট্ট ঐ সিড়ি ঘরে নানা রঙ্গের এবং ঢঙ্গের কবুতর পাওয়া যায়। অনেকটা শখের বসে শুরু করলেও এখন তা একটি সফল ও লাভজনক ব্যবসা। এমনটিই জানতে পারলাম কবুতরের মালিকের সাথে কথা বলে। টংগী চেরাগআলীর একটি বাসার ছাদে নামি-দামি এসব কবুতরের সাথে সাক্ষাত হলো। দামি কবুতর বলতে কি বুঝায় তা হয়ত অনেকেরই ধারনা নাই। কবুতর সম্পর্কে তেমন ধারনা না খাকলে এর দাম শুনে হয়ত আকাশ থেকে পরবেন। কবুতরের দামে পরে আসি আগে একটি ডিমের দাম শুনে রাখেন। মালিকের তথ্য মতে একটি ডিমের দাম প্রায় তিন হাজার টাকা। এবার বুঝুন কবুতরের দাম কত হতে পারে। প্রায় এক বছরের বেশি সময় আগে শখের এই কবুতর দেখতে গিয়েছিলাম। দেখেই মাথায় আসছিল কোন পত্রিকায় এ নিয়ে একটা লেখা লিখব। কিন্তু এই ব্লগার বরাবরই অলস। মহা অলস! পত্রিকায় তো দেয়া হয়ইনি। বরং অযত্নে পরে ছিল মোবাইলে তোলা এই ছবিগুলো। ফ্যামিলির ছবি দেখতে গিয়ে হঠাৎ চোখে পরল। এবার আর আলস্য নয়। দুলাইন হলেও লিখতেই হবে..
মোবাইলে সব কবুতরের নাম, মালিকের মিনি সাক্ষাৎকার ও সংক্ষিপ্ত সব তথ্য নেয়ার চেষ্টা করেছিলাম। এতদিনে কি আর এসব থাকে! মোবাইলের মেমরী খোয়া যাওয়ায় সবকিছু হারিয়েছি। শুধু ছবিগুলোর কপি হার্ডডিস্কে ছিল বলে দুলাইন লিখার যোগান পেলাম। যতদুর মনে পড়ে কবুতরগুলোর মধ্যে ছিল হোমার, পোমেরানিয়ান ডাটিস, সাক্সন ডাটিস, লোটন, জেকোভিন, মুকি, গিরিবাজ, টেম্পালার ইত্যাদি। বিস্তারিত ছবিতে দেখুন।



ছবিগুলো দেখে নিশ্চয় মনে মনে ভাবছেন শখের কবুতরই বটে! কিন্তু এ শখ শুধু ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মাঝেই সীমাবদ্ধ। ৪-৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে লাখের উপরে দাম দিয়ে এসব কবুতর কিনে শখ মেটানো নিশ্চয় মধ্যবিত্ত বা উচ্চ মধ্যবিত্তের পক্ষে সম্ভব না। তবে আবার প্রবাদও আছে যে শখের দাম লাখ টাকা! তো যান শখ মিটান..
কানে কানে একটা বুদ্ধি শিখিয়ে দিই- এসব কবুতরের প্রতি প্রবল আকর্ষণ থাকলে একটা দোকান খুলে বসতে পারেন মানে কবুতরের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। তাতে শখও মিটল আবার কিছু রোজগারও হলো।
GIPHY App Key not set. Please check settings